এনামুল হক শামীম
নদী ভাঙনরোধে দ্রুত কাজ করছে সরকার
সারাদেশের নদী ভাঙনরোধে সরকার দ্রুত কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, সরকারের পদক্ষেপের কারণেই সারাদেশে নদীভাঙন কমে এসেছে। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ায় ১৩ বছরে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমেছে।
শনিবার (৬ মে) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পদ্মা নদীর ডান তীরের ভাঙন এলাকা রক্ষা প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর জিরো পয়েন্ট থেকে জাজিরার বিলামপুর পর্যন্ত ১১৭৩ কোটি টাকার প্রকল্পও প্রক্রিয়াধীন। ৮.৬৭ কিলোমিটার এ প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুলাই থেকে কাজ শুরু হয়ে ২০২৬ সালের জুনে শেষ হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু হয়েছে। এ সেতু হওয়ায় শরীয়তপুরের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। চার বছর আগেও নড়িয়ায় নদীভাঙন ছিল। হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে এখন আর নড়িয়ায় নদী ভাঙন নেই। ভাঙন কবলিত নড়িয়ায় এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। নড়িয়া থেকে মাদারীপুর জেলার কালকিনি পর্যন্ত কীর্তিনাশা নদীর দুই পাড় রক্ষা প্রকল্প এগিয়ে চলছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার অনেকাংশেই কমে আসবে। কাজ যেন গুনগত মান ঠিক রেখে হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কাজের ব্যাপারে কোনো প্রকার গাফিলতি, অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিমাঞ্চল) রমজান আলী প্রামানিক, পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব শারমিনা নাসরিন, উপসচিব শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী সচিব ইসরাত জাহান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর অঞ্চল) শাহজাহান সিরাজ, জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব।
পরে নড়িয়ায় পানি ভবনে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পাউর বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপমন্ত্রী।
এসজে/জেআইএম