পূর্বশত্রুতার জেরেই খুন হন যুবলীগ নেতা জামাল
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেনকে (৪০) হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. তানভীর মাহমুদ পাশা।
গ্রেফতাররা হলেন- তিতাস উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার (৪০), উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল (৩৬) ও দাউদকান্দি উপজেলার গোপচর গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে শাহ আলম পা কাটা আলম (৩৬)।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যার তিন আসামি গ্রেফতার
অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারদের কাছ থেকে যুবলীগ নেতা জামালের হত্যার বিষয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদারের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ মোট ৯ টি, ইসমাইলের বিরুদ্ধে ২টি হত্যা মামলাসহ তিনটি এবং শাহ আলমের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১০টি মামলা আছে।
এ র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, জামালের স্ত্রী পপি আক্তার যে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন তাদের মধ্যে এজাহারনামীয় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ১ নম্বর ও ২ নম্বর আসামি সুজন ও আরিফ নেপালে, ৫ নম্বর আসামি বাদল দুবাইয়ে, ৬ নম্বর আসামি শাকিল ভারতে, ৮ নম্বর আসামি অলি হাসান সৌদি আরবে পালিয়ে গেছেন এবং ৯নং আসামী কালা মনির আত্মগোপনে আছেন। বিদেশে অবস্থানরত আসামীদের দেশে ফেরাতে এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে তাদেরকে দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যার ‘পরিকল্পনাকারী’ আওয়ামী লীগ নেতা
এর আগে ৩০ এপ্রিল রাত সোয়া ৮টার দিকে জামাল হোসেন এশার নামাজ পড়তে গৌরীপুর পশ্চিম বাজার বায়তুন নুর জামে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বোরকা পরিহিত তিন দুর্বৃত্ত মসজিদ গলিতেই তাকে এলোপাতাড়ি একাধিক গুলি করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় তার স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনাম আটজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মো. সুজন, আরিফ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মনাইরকান্দি গ্রামের শাহিনুল ইসলাম ওরফে সোহেল শিকদার, জিয়ারকান্দি গ্রামের বাদল, শাকিল, দাউদকান্দির গোপচর গ্রামের শাহ আলম, তিতাসের জিয়ারকান্দি গ্রামের অলি হাসান ও কালা মনির।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসজে/জেআইএম