১০ বছর পর নিহত ছাত্রদল নেতার পরিবারকে বাড়ি উপহার বিএনপির
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, দেশকে ভালোবেসে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার জন্য নাসির, মোবারক, ফারুক রক্ত দিয়েছে। রক্তের বদলা বাড়ি দিয়ে পরিশোধ করার নয়। রক্তের ঋণ শোধ হবে না। দেশকে ভালোবেসে প্রাণ দিয়েছে নাসির। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে নাসিরসহ শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।
বুধবার (১৭ মে) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সোহাগপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত নাসিরের বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিন এসব কথা বলেন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দুলু আরও বলেন, বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন আমেরিকা আর আমাদের ক্ষমতায় রাখবেন না। আমেরিকা তাকে ক্ষমতায় রাখবেন? স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের জনগণ আর ক্ষমতায় রাখবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ১০ দফা দাবির মধ্যে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
এ সময় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান বলেন, শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে গুলি চালায়। সেই গুলিতে নাসিরের মৃত্যু হয়। নাসিরের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। নাসিরের পরিবারের জন্য একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের সবসময় খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে হরতাল সমর্থকরা একটি মিছিল নিয়ে পাটগ্রাম শহরে আসার সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে পাটগ্রাম ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
দীর্ঘ এক দশক পর বিএনপির দেওয়া বাড়ি পেয়ে নিহত ছাত্রদল নেতার মা নাসিমা বেগম বলেন, আমরা ৬ সদস্যের পরিবার। থাকার মতো ঘর প্রয়োজন ছিল। আজ আমাদের বাড়ি করে দেওয়ায় আমরা বিএনপি নেতাদের উপকারের কথা কোনোদিন ভুলবো না।
রবিউল হাসান/এফএ/জিকেএস