পাকা ঘরের কথা বলে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলেন জামাই-শ্বশুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ১৯ মে ২০২৩
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শ্বশুর আ. রউফ ও মেয়ের জামাই নাজিম সিদ্দিকী

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্বল্পমূল্যে পাকা ঘর নির্মাণের নামে মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জামাই-শ্বশুরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- মামলার মূলহোতা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের গোলাম মোহাম্মদের ছেলে মাহবুবুল হক (৪৩), তার সহযোগী বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে আ. রউফ (৫৬) ও তার মেয়ের জামাই ভূঞাপুর পৌরসভার ফসলান্দি গ্রামের আক্তারুজ্জামান সিদ্দিকীর ছেলে নাজিম সিদ্দিকী (৩৭)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিদেশি সংস্থা কুয়েত জয়েন রিলিফ সোসাইটির (কেজিআরসি) নামে একতলা পাকা ভবন নির্মাণের প্রলোভন দেখান মাহবুবুল হক, আ. রউফ, মেয়ের জামাই নাজিম ও তার সহযোগীরা। উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে অগ্রিম ৪-৫ লাখ টাকা করে নেন তারা। মানুষকে বিশ্বাস করানোর জন্য বেশ কয়েকটি ঘরের নির্মাণ কাজও শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যান তারা।

কোনো সুরাহা না পাওয়ায় ভুক্তভোগী মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মাসউদসহ উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মামলার মূল আসামির সঙ্গে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন জামাই ও শ্বশুর। রিমান্ডে মাহবুবুল হক ওই দুই এজেন্টের কথা বলার পরই বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, তারা কুয়েতের একটি সংস্থার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভবন করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। অনেক মানুষ তাদের কথায় বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

আরিফ উর রহমান টগর/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।