কক্সবাজারে ইয়াবাসহ সস্ত্রীক এপিবিএন কর্মকর্তা আটক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ২০ মে ২০২৩
সস্ত্রীক এপিবিএন কর্মকর্তা রেজাউল করিমকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর

কক্সবাজারের কলাতলীতে ইয়াবাসহ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) সস্ত্রীক আটক হয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে ডলফিন মোড়ের গ্রিন লাইন কাউন্টার থেকে তাদের আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আটকরা হলেন- সিরাজগঞ্জের সমেশপুরের রেজাউল করিম (৪৭) ও তার স্ত্রী মলিনা পাশা (৪৩)। রেজাউল করিম টেকনাফের হ্নীলার আলীখালী (২৫ নম্বর ক্যাম্প) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। তিনি ডিপার্টমেন্টাল পদোন্নতিতে কনস্টেবল থেকে উপ-পরিদর্শক (এসআই) হয়েছেন।

টেকনাফ মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক তুন্তু মণি চাকমা জানান, আটক রেজাউলের পরিবার কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল। যাওয়ার সময় ইয়াবাগুলো কৌশলে ঢাকায় পাচারের জন্য মজুত রাখেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলাতলী ডলফিন মোড়ের গ্রিন লাইন কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে তাদের বহন করা ব্যাগ থেকে ইয়াবাগুলো জব্দ করা। দুজনকে আটক করা হয়।

তুন্তু মণি আরও বলেন, ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। আটক রেজাউল নিজেকে ১৬ এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক বলে দাবি করেন। স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

টেকনাফের হ্নীলার এক সূত্র জানায়, হ্নীলার আলীখালী (২৫ নম্বর ক্যাম্প) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এসআই রেজাউল একাধিক সফল অভিযান চালিয়েছেন। সম্প্রতি হ্নীলা ইউনিয়নস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর আতঙ্ক সন্ত্রাসী ছালেহ গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করে। অল্প সময়ে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক হিসেবে পরিচিতি পায়।

তিনি চাইলে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে কমিশন ভিত্তিক মাসহারায় কোটি টাকা আয় করতে পারতেন। তাকে বাগে আনতে ব্যর্থ হয়ে মাদক কারবারিরা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ ইয়াবা সিন্ডিকেট নিজেদের পথ পরিষ্কার করতে নানা ফন্দিতে সামনে এগোয়, এমন প্রমাণ অহরহ রয়েছে বলে দাবি সূত্রের।

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) হাসান বারী নুর জাগো নিউজকে বলেন, আমার অধীনস্থ আলীখালী ক্যাম্পের ইনচার্জ সস্ত্রীক মাদকসহ ধরা পড়েছে বলে খবর পেয়েছি। এটা অনভিপ্রেত। তার বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবো।

অপরদিকে তিনিও স্বীকার করেন, গতমাসে বেশ কয়েকজন দুর্ধর্ষ ডাকাত গ্রেফতারে আলীখালী ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিমের অবদান আছে। তার কাজের পরিধি ভালো। তাই কীভাবে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তিনি জড়ালেন তাও নিজস্ব গতিতে খতিয়ে দেখার উদ্যোগ চলছে।

সায়ীদ আলমগীর/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।