কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই উদ্বোধন হচ্ছে বিলোনিয়া স্থলবন্দর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৩:৩২ এএম, ২১ মে ২০২৩

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে পুরো কাজ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে অবকাঠামোগত অনেক কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই উদ্বোধন হচ্ছে বিলোনিয়া স্থলবন্দর। রোববার (২১ মে) বিকেলে ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় এই বন্দর উদ্বোধন হবে।

বন্দর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান ও পুলিশ সুপার জাকির হাসান।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর জানান, অনুষ্ঠানে বিলোনিয়া স্থলবন্দরের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। এছাড়া উন্মোচন করা হবে উদ্বোধনী ফলক।

আরও পড়ুন: থমকে আছে বিলোনিয়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল। আর স্বাগত বক্তব্য দেবেন বিলোনিয়া স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান।

jagonews24

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর পথচলা শুরু হয় বিলোনিয়া স্থলবন্দরটির। এটি দেশের ১৭তম স্থলবন্দর। পরশুরাম উপজেলার সীমান্ত এলাকায় স্থাপিত বন্দরটি দেশের একমাত্র রফতানিমুখী বন্দর। ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এটি।

আরও পড়ুন: রপ্তানিতে টিকে আছে বিলোনিয়া বন্দর

এ বন্দর দিয়ে ইট, বালু, সিমেন্ট, পাথর, রড, শুঁটকি, চুন ও গার্মেন্টস সামগ্রী রফতানি হয়। তবে একমুখী বাণিজ্যের কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেক পিছিয়ে পড়ে বন্দরটি। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য ও জাসদ নেত্রী শিরিন আক্তারের চেষ্টায় বন্দরটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পরে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৩৮ কোটি ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে অনুমোদন হয় ‘বিলোনিয়া স্থলবন্দর উন্নয়ন (বিশেষ সংশোধিত)’ প্রকল্প। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল বন্দরের আশপাশের ১০ একর জায়গায় অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

আরও পড়ুন: খাদ্য-প্লাস্টিক-সিমেন্ট রপ্তানির অপার সম্ভাবনা

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ পায় ‘পিবিএল টপ লাইন জিবি’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএসএফের বাধার মুখে পুরো কাজ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ওই প্রকল্পের আওতায় ওয়্যার হাউজ, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, অফিস ভবন, ব্যারাক, ডরমিটরি, ড্রেন, টয়লেট কমপ্লেক্স, ওয়েব্রিজ স্কেল, পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিককরণ, ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার ফাইটিল স্থাপন কাজ হওয়ার কথা ছিল।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/জেডএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।