পাহাড়ে হাতিকে গুলি করে হত্যা


প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৬

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জের পুর্ণগ্রাম বিট এলাকায় একটি বন্য হাতিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে হাতির মরদেহ উদ্ধার করেছে বনকর্মীরা।

পুর্ণগ্রাম বিট কর্মকর্তা ইলিয়াছ মিয়া জোগো নিউজকে জানান, ঈদগাঁও রেঞ্জের পুর্ণগ্রাম বিট এলাকার বলামারা পাড়ায় একটি হাতির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বন্যহাতি পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাতির বয়স আনুমানিক ২৫ বছর।

তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কক্সবাজার সদর মোহাম্মদ হোসেন ও ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি পর্যবেক্ষণ করেন। তাদের উপস্থিতিতে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের পশু চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান মরদেহ ময়নাতদন্ত করেছেন।

এদিকে, বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) কেরামত আলী মল্লিক।

বিট কর্মকর্তা ইলিয়াছ মিয়া আরো বলেন, পুর্ণগ্রাম বিট এলাকার বলামারাসহ পাহাড়ের কাছাকাছি দীর্ঘদিন আগে থেকে জনবসতি রয়েছে। পাহাড়ের কাছাকাছি এসব জনবসতির লোকজন কলাবাগানসহ নানা ক্ষেত খামার করেন। এতে প্রায় সময় হাতিরপাল হানা দেয়। বুধবার রাতেও হাতির পাল হয়তো বলামারা এলাকার কলা ও ফলজ বাগানে হানা দিয়েছিল।

এসময় এলাকাবাসী হাতি তাড়াতে এলে লোকজনকে ধাওয়া করে হাতিরপাল। এসময় দুর্বৃত্তরা গুলি করে। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাতিটি মারা যায়।

এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ডিএফওর পরামর্শ ক্রমে বিভাগীয় মামলাও রুজু করা হবে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, পুর্ণগ্রাম এলাকাটি তিন থানার সংযোগস্থল এবং দুর্গম। এ কারণে এখানে অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা রয়েছে। বিভিন্ন এলাকার অবৈধ অস্ত্রধারীরা এখানে এসে নানা অপরাধ কর্মের শলা পরামর্শ করেন। আবার অনেককে অপহরণ করেও এখানে নিয়ে আসা হয়।

স্থানীয়রা অনেক কিছু দেখেন এবং জানেন কিন্তু মুখ খুলতে পারেন না। এমনিতে তারা নির্যাতনের শিকার হন এসব বিষয় নিয়ে কথা বললে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ার ভয় সবাইকে তাড়ায় বলে উল্লেখ করেন সূত্রটি।

সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।