‘শরীরের ব্যথা দূর’ করতে শিয়ালের মাংস খেলেন হারুন

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ২৫ মে ২০২৩

‘শরীরের ব্যথা দূর হয়, তাই একটি রান্না করে খেয়েছি, আরেকটি আটকে রেখেছি।’ কথাগুলো বলছিলেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নবীনপুরের বাসিন্দা হারুন হাওলাদার (৪০)। তবে তিনি কোনো গরু, ছাগল কিংবা মুরগি রান্না করে খাননি। বন থেকে শিকার করে শিয়ালের মাংস রান্না করে খেয়েছেন তিনি।

অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্য কেএম বাচ্চুর কাছে সেই শিয়াল রান্নার বর্ণনাই দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে হারুনের বাড়িতে শিয়াল জবাই করা হয়েছে এমন খবর পেয়ে সেখানে যান টিমের সদস্যরা। এ সময় ওই বাড়ি থেকে জীবিত অবস্থায় একটি শিয়াল উদ্ধার করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মজিবুর রহমান, অ্যানিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা শাখার সদস্য কেএম বাচ্চু, শাওন প্রমুখ।

‘শরীরের ব্যথা দূর’ করতে শিয়ালের মাংস খেলেন হারুন

হারুন হাওলাদার বলেন, আমি দুইটি শিয়াল জঙ্গল থেকে ধরেছি। শুনেছি এগুলো রান্না করে খেলে আর শরীরে কোনো ব্যথা থাকে না। তাই একটি রান্না করে খেয়েছি আর একটি খাঁচায় রেখেছি। তবে এগুলো যে ধরা নিষেধ তা আমি জানি না। আর এ কাজ করবো না।

অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্য কেএম বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি একটি শিয়াল জবাই করে রান্না করা হচ্ছে। পরে দ্রুত সেখানে গিয়ে রান্না করা শিয়াল খেয়ে ফেলার কারণে আর পাইনি। তবে একটি খাঁচায় আটকানো অবস্থায় পেয়েছি। সেটি উদ্ধার করে নিয়ে এসে বন বিভাগকে জানিয়েছি।

মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যেটা উদ্ধার করা হয়েছে সেটা রাতে অবমুক্ত করা হবে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।