১৮ বছর পর গ্রেফতার আসামিকে ছিনিয়ে নিলেন লোকজন

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ০৪ জুন ২০২৩

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৮ বছর ধরে পলাতক হত্যা মামলার এক আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (৩ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মৌটুপি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই আসামির নাম আশরাফুল হক (৫২)। তিনি সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের মৃত আবদুল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ছাড়াও ১০টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সাদেকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে ওবায়েদুল্লাহ হত্যার আসামি আশরাফুল হক। ১৮ বছর আগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তিনি খুন হন। শনিবার রাতে মামলার বাদীপক্ষ তাকে এলাকার মৌটুপি গ্রামে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে একদল পুলিশ মৌটুপি গ্রামে যায়। এসময় নিহত ওবায়েদুল্লাহর ভাতিজা সরকার নাহিদ তাকে (আশরাফুল হক) জাপটে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ আসামিকে হাতকড়া পরায়। এসময় আশরাফুলের আত্মীয়-স্বজনসহ তার লোকজন পুলিশের হাত থেকে হাতকড়ার চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পালাতে সুযোগ করে দেন।

নিহত ওবায়েদুল্লাহর ভাই সাদেকপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরকার সাফায়েত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তার ছেলে সরকার নাহিদ বলেন, ‘আমি তাকে জাপটে ধরে পুলিশের হাতে দিলে আসামির লোকজন বাড়ির পেছনে জঙ্গলে নিয়ে বেসামাল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পরে পুলিশের কাছ থেকে জোর করে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে বাধ্য করে।’

এ বিষয়ে ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পল্লব সাহা বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ছেলে নাহিদকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আসামির বাড়িতে যাই। নাহিদ আসামিকে দেখতে পেয়ে জাপটে ধরে ফেলেন। পরে আমরা তাকে হাতকড়া পরাই। এরপরই আসামির বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বের হলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়। সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। এসময় হাতকড়া খুলে আসামিকে পালাতে সহযোগিতা করেন তারা।’

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, আশরাফুল হক ১৮ বছর ধরে পলাতক। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।

রাজীবুল হাসান/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।