ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ০৫ জুন ২০২৩
ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহত যুবলীগ নেতা নাঈম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সালেহ রহমান মিকদাতের বিরুদ্ধে নাঈম নামে এক যুবলীগ নেতার দুই হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৪ জুন) রাতে পৌর শহরের পলতাকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত নাঈম একই এলাকার মৃত হিরণ মিয়ার ছেলে। তিনি ভৈরব পৌর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ভৈরব নৈশ মৎস্য আড়ত ব্যবসা সমবায় সমিতির পরিচালক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত ১১টার দিকে পলতাকান্দা এলাকায় জালাল মিয়ার চায়ের দোকানে বসে ছিলেন যুবলীগ নেতা নাঈম। এ সময় তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সালেহ রহমান মিকদাত ও তার ভাই পৌর ছাত্রদলের সভাপতি হিসামসহ কয়েকজন। আহত যুবলীগ নেতা নাঈমকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৌরভ জাগো নিউজকে বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় যুবলীগ নেতাকে হাসপাতালে আনলে আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। প্রচণ্ড আঘাতে তার দুই হাত ভেঙে গেছে। তবে একটি হাতের হাঁড় বেশি আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করি।

আহত যুবলীগ নেতা নাঈমের স্ত্রী মাহিয়া ইসলাম বলেন, রাতে স্থানীয় মাছ বাজারে জালাল মিয়ার চায়ের দোকান চা খাওয়ার মুহূর্তে স্বামীকে ছাত্রলীগ নেতা সালেহ রহমান মিকদাত, তার ভাই হিসাম , স্বাধীন, হামজা ও সাবীসহ ২০-২৫ জন মিলে ঘেরাও করে। তাকে ওই দোকানে মোটা কাঠ দিয়ে তার হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে তার দুটি হাত ভেঙে যায়।

অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সালেহ রহমান মিকদাত জাগো নিউজকে বলেন, নাঈম আমাদের এলাকার বড় ভাই। একটি মাছের ঘের নিয়ে কালাম নামের এক লোকের সঙ্গে তার বিবাদ আছে। স্থানীয় নেতারা তা মীমাংসা করবেন বলে সময় দিয়েছেন। হামলার ঘটনাটি আমাদের এলাকার কিছু পরিচিত ছোট ভাইয়েরা ঘটিয়েছে। ঘটনার সময় আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। এটাই আমার অপরাধ। আমি না থাকলে হয়তো তাকে মেরে ফেলতো। কিছু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে আমার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আমিও চাই সামাজিকভাবে দোষীদের দৃষ্টান্ত শাস্তি হোক।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, মারামারির বিষয়টি শুনেছি। আহত নাঈমের পরিবারে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজীবুল হাসান/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।