নরসিংদীতে স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন

নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আ ন ম ইলিয়াস এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত ঝুনু বেগম নিহত মোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী। সে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খড়িয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর আগে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খড়িয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে ঝুনু বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। ঝুনু বেগম আধুরী কারখানায় চাকরি করতেন। বিষয়টি মোফাজ্জল পছন্দ করতেন না। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো।
এরই জের ধরে ২০২২ সালের ২১ জুলাই রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় ঝুনু বেগম শাবল দিয়ে স্বামী মোফাজ্জলের মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে নিহতের ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে শিবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ও আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে ঝুনু বেগম হত্যার দায় স্বীকার করেন। আদালত ১০ মাস ১৪ দিনের মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আরিফুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট খন্দকার হালিম বলেন, মাত্র ১০ মাসে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শেষ হয়েছে। ১৪ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক অভিযুক্ত ঝুনু বেগমের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
নিহত মোফাজ্জল হোসেনের ভাই ও মামলার বাদী আলী হোসেন বলেন, আমার এ রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমরা আশা করেছিলাম ঝুনু বেগমের ফাঁসি হবে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি এ ধরনের অপরাধ ও খুন বন্ধে ঝুনু বেগমের ফাঁসি দেওয়া হোক। যাতে করে আর কেউ যাতে খুনের শিকার না হয়।
সঞ্জিত সাহা/এসজে/এএসএম