আমের মতোই সুমিষ্ট নওগাঁর মানুষের ব্যবহার: ব্যারিস্টার সুমন
নওগাঁয় মরহুম আব্দুল জলিল গোল্ডকাপ প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট মাতালেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
শুক্রবার (৯ জুন) জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে প্রীতি এ ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও নওগাঁ জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা অংশ নেন।
খেলা শুরুর আগে ব্যারিস্টার সুমন নওগাঁ জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের পেয়ারা গাছের চারা উপহার দেন।
প্রথমার্ধে কোনো গোল না হলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৪০ মিনিটে নওগাঁ জেলা দল একটি গোল দেয়। এর চার মিনিট পর ব্যারিস্টার সুমনের দল একটি গোল করায় খেলায় সমতা ফিরে আসে। অবশেষে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে খেলা শেষ হয়।
বোরো ধান-কাটা মাড়াই শেষ হওয়ায় জেলার মানুষরা এখন অনেকটা অবসর সময় পার করছেন। এ সময়টাকে উপভোগ করতে ফুটবলপ্রেমীরা ছুটে এসেছিলেন নওগাঁ স্টেডিয়াম মাঠে। প্রায় তিন বছর পর নওগাঁ স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে মরহুম আব্দুল জলিল গোল্ডকাপ প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা দেখতে আসেন নওগাঁসহ পাশের রাজশাহী, জয়পুরহাট ও বগুড়ার খেলাপ্রেমীরা।
বিকেল সাড়ে ৪টায় খেলা শুরু হলেও দুপুরের পর থেকে স্টেডিয়ামে আসতে থাকেন দর্শকরা। নির্ধারিত সময়ের আগে স্টেডিয়ামের গ্যালারি দর্শকে ভরে যায়। খেলার মূল আকর্ষণ ছিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের উপস্থিতি। তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শকরা খেলা দেখে মুগ্ধ হন। এ মাঠে নিয়মিত খেলার আয়োজন করার দাবি খেলাপ্রেমীদের।
জেলা পর্যায়ে ফুটবল খেলাকে এগিয়ে নিতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের এমন উদ্যোগ। তিনি বলেন, মন দিয়ে কোনোকিছু ভালবাসলে তা সারাজীবন থাকবে। ফুটবল আমাদের প্রথম প্রেম। এ প্রেমটাকে নষ্ট করতে দেওয়া হবে না। আশাবাদী ৯০ দশকের সেই সোনালি ফুটবল খেলা আবারও ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, আমের মতোই সুমিষ্ট এই জেলার মানুষদের ব্যবহার। এটা আগে জানলে আরও আগেই এ জেলায় এসে ঘুরে যেতাম। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে খেলতে এসেও আমাদের খেলোয়াড়রা ক্লান্তিবোধ করছেন না।
নওগাঁ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, জেলাবাসী খেলাধুলা প্রায় ভুলেই গেছে। এ জেলায় অনেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় ছিল। যুব সমাজকে রক্ষায় ও খেলার প্রতি মনোযোগী করতে মাঠে নিয়মিত খেলার আয়োজন করা হবে। আবারও চাই এ জেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ে খেলোয়াড় তৈরি হোক। আমরা আবার মহিলা ফুটবল লীগ শুরু করতে যাচ্ছি।
আয়োজকরা জানান, মরহুম আব্দুল জলিল গোল্ডকাপ প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টে মোট আটটি দল অংশ নিচ্ছে।
আব্বাস আলী/এমআরআর