নেত্রকোনা-কলমাকান্দা সড়কের ৯টি সেতুই ঝুঁকিপূর্ণ


প্রকাশিত: ০৭:০১ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা ২১ কিলোমিটার সড়কে নয়টি বেইলি সেতু রয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় আশির দশকে নির্মিত এই সেতুগুলো বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে বাউসি কংস নদের ওপর নির্মিত বাউসি সেতু, গোমাই নদের ওপর নির্মিত গোমাই সেতুটি বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সেতু দুটিতে কোনো রকমে জোড়াতালি দিয়ে জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ যানবাহন ও জন চলাচল সচল রেখেছে। রোববার এই সড়কের আশার রাণি সেতুর স্লিপারসহ পাটাতন ভেঙ্গে পড়ায় সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শুধুমাত্র বাউসি সেতুর লোহার পাটাতনে অন্তত ৬৪২টি ও গোমাই সেতুতে ৩৬১টি জোড়া রয়েছে। এছাড়াও সেতুর ওপর লাগানো বিভিন্ন স্থানে পাটাতন সরে ফাঁকা হয়ে পড়েছে। যানবাহন এসব ফাঁকা অংশ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। পাটাতনের বাকি অংশেরও একই অবস্থা।

নেত্রকোনা থেকে কলমাকান্দা উপজেলা শহরে যাওয়ার পথে আশারাণি সেতু পার হবার সময় যাত্রী মনোরঞ্জন সরকার জানান, সেতুর ওপর ভারি যানবাহন উঠলে তা কাঁপতে শুরু করে। গাড়ি চালানোর সময় চালকসহ যাত্রীরা আতঙ্কে থাকেন। সেতুগুলো সরু হবার কারণে একসঙ্গে একাধিক বড় যান চলতে পারে না। প্রায় এক যুগ ধরে ঝুঁকি নিয়েই এই সেতুগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

কলমাকান্দার বাসিন্দা মো. রিপন মিয়া  জানান, বেইলী সেতুর স্টীলের যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায় দুবৃত্তর্রা । এছাড়া সেতুটির অনেক পাটাতনের সংযোগস্থল ক্ষয় হয়ে ধারালো ও পিচ্ছিল হয়ে গেছে। পারাপারের সময় হেঁটে যেতেও ভয় লাগে।

কলমাকান্দা উপজেলার চত্রংপুর গ্রামের বাসিন্দা কালাম জানান, এ সড়কের বেইলী সেতু গুলি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্ষার আগে আগে কোনো না কোনো সেতু ভেঙে প্রতি বছর এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

নেত্রকোনা সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, এই বেইলি সেতু দিয়ে ভারি যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেইলির পরিবর্তনে পাকা সেতুর পরিকল্পনা করে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।

কামাল হোসাইন/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।