ধর্ষণের পর মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু


প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ১৩ মার্চ ২০১৬

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার থালতা মাজগ্রাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, থালতা মাজগ্রাম গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়ার (২৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শনিবার গভীর রাতে ওই মেয়ের বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফরিদ মিয়া তার শোবার ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়ের বাবা বাড়িতে এসে শব্দ শুনে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে ঢোকে কিন্তু ইতোমধ্যে ফরিদ মিয়া জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।

পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ছাত্রীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রোববার ভোর রাতে সে মারা যায়। ঘটনার পর গ্রামের মধ্যেই লুকিয়ে থাকা ধর্ষক ফরিদকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
 
হাসপাতালে নিহতের বাবা জানান, তার ছোট মেয়ে। সে কখনোই স্বেচ্ছাই এই কাজ করতে পারেনা। তাকে জোর করে ধর্ষণ করার কারণেই এই নির্মম মৃত্যু হয়েছে।

নন্দীগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান শামীম ইকবাল জানান, ধর্ষণের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটি মারা গেছে নাকি তাকে অন্যকোনো ভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহের ময়না তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই অপকর্মের কথা ফরিদ মিয়া স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এফএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।