সাংবাদিক নাদিম হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেফতার দাবিতে বিক্ষোভ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানি নাদিম হত্যার মূল হোতা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকরা।
শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিক নাদিমের দাফন শেষে বকশীগঞ্জ থানা ভবনের সামনে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা এ বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ সভায় সভাপতিত্ব করেন জামালপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা। এ সময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান, জামালপুর প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ কাফি পারভেজ, জামালপুর টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত জামান, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
সভায় জামালপুর প্রেস ক্লাব, জামালপুর টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বকশীগঞ্জ প্রেস ক্লাব, উপজেলা প্রেস ক্লাব, মডেল প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুকে গ্রেফতারের দাবি জানান। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৪ জুন) রাত ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন গোলাম রাব্বানী নাদিম। তিনি বাংলানিউজ২৪.কমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি, একাত্তর টিভি ও দৈনিক মানবজমিনের বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এবং জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ছিলেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শুক্রবার সকালে তাকে নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের গোমেরচর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে দাফন করা হয়।
নাসিম উদ্দিন/এফএ/জিকেএস