গাছের যত্ন নিলেই পরীক্ষায় মিলবে অতিরিক্ত ৫০ নম্বর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ১৭ জুন ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সীমান্ত লাগোয়া ধলেশ্বর গ্রামে রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার চত্বরে আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীদের এসব চারা বিতরণ করা হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, প্রকৃতির সৌন্দর্যবর্ধন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং সবুজ পরিবেশ গড়তে চারাগুলো শিক্ষার্থীদের উপহার দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে একটি করে ফলজ গাছের চারা তুলে দিয়ে তাদের বলা হয়, গাছের যত্ন নিলে ফাইনাল পরীক্ষায় অতিরিক্ত ৫০ নম্বর দেওয়া হবে। যারা গাছের যত্ন নেবে না তাদের পরীক্ষার মোট নম্বর থেকে পঞ্চাশ নম্বর কাটা হবে।

পরিবেশবাদী সংগঠন আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের আহ্বায়ক সাংবাদিক রুবেল আহমেদের সভাপতিত্বে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই সংগঠন উপদেষ্টা ও রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া সানি ইন্ডাস্ট্রি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার জেসি জ্যাং ও মরটন সেনেটারিওয়ার ম্যানুফেকচার লিমিটেডের সেলস ম্যানেজার পেনসন সি।

jagonews24

অ্যাডভোকেট আকছির এম চৌধুরী বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য সবাইকে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশে জনসংখ্যার অধিক চাপে পড়ে বেশিরভাগই ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ বন বিভাগের নিয়মনীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। এভাবে ব্যাপকহারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয়, খাদ্য সমস্যাও একসময় প্রকট আকার ধারণ করবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, আগের দিন চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিন ভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না। এমন চলতে থাকলে তাপমাত্রা বেড়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। এমনিতে বর্ষা মৌসুমে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলই পানিতে প্লাবিত হয়। সবুজ-শ্যামল এ দেশটা আগের মতো আর নেই। যেসব গুণের কারণে আমাদের এ দেশকে সবুজ-শ্যামল বলা হতো তার বেশিরভাগেই ছিল চারদিকে ঘন গাছপালা আর সবুজের সমারোহ। এখন সেই সবুজ-শ্যামল রূপ খুব কমই চোখে পড়ে।

অনুষ্ঠান শেষে দুজন বিদেশি নাগরিক পাঠাগার চত্বর ও আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একটি ঔষধি ও দুটি ফলজ গাছ রোপণ করেন।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।