লক্ষ্মীপুর

দাফনের ৯ দিন পর কবর থেকে নারীর মরদেহ উত্তোলন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ১৯ জুন ২০২৩
এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে কবর থেকে আসমা আক্তার নামে এক নারীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে রামগঞ্জ পৌরসভার কাজীরখীল এলাকার দৌরে আলী মিঝি বাড়ির কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

এসময় রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উত্তোলনে সহযোগিতা করে।

এর আগে গত ১০ জুন তাকে দাফন করা হয়েছিল। এ ঘটনায় আসমার স্বামী শাহেদুজ্জামান রিমনকে আটক করেছে পুলিশ।

রিমন রামগঞ্জের কাজীরখীল এলাকার দৌরে আলী মিঝি বাড়ির তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। আর আসমা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাইটংপাড়ার মো. আলমের মেয়ে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসমা ও রিমন গার্মেন্টসকর্মী ছিলেন। তারা একই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। এতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ১১ বছর আগে তারা বিয়ে করেন। এরপর তারা চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা পশ্চিম হোসেন আহম্মেদপাড়ার খেজুরতলা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে।

গত ১০ জুন রিমন তার শ্বশুর আলমকে মোবাইলফোনে কল দিয়ে জানান, আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তখন আলম তার অন্য মেয়েদের বিষয়টি জানিয়ে ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানান। কিন্তু রিমন তাকে জানান, আসমার পেট ফুলে গেছে। দ্রুত মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করতে হবে। এরপর থেকে রিমনের মোবাইলফোন বন্ধ পান আলম। একপর্যায়ে তিনি ঘটনাস্থল গিয়ে জানতে পারেন আসমার মরদেহ রামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে মেয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে না পেরে ও রিমনের খোঁজ না পেয়ে আলম পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন।

পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার ঘটনায় রিমনের বাড়ির মালিক ও অ্যাম্বুলেন্সচালকের সঙ্গে কথা বলি। তাদের সঙ্গে কথা বলে রিমনের বাড়ির ঠিকানা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রিমনকে আটক করা হয়েছে। তাকে সঙ্গে নিয়েই আদালতের নির্দেশে রামগঞ্জে এসে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন করা হবে।

রামগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন বলেন, মরদেহ উত্তোলনের জন্য আদালতের নির্দেশনা ছিল। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলামের তত্ত্বাবধানে মরদেহ উত্তোলন করে তদন্ত কর্মকর্তা ও পতেঙ্গা থানার এসআই সফিকুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পতেঙ্গা থানা পুলিশ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কাজল কায়েস/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।