নদীর পানি বাড়তেই কদর বেড়েছে দারকির
কুড়িগ্রামে সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষের মনে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিলেও জেলে, মাঝি ও সৌখিন মাছ শিকারিদের মাঝে শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব। নদ-নদীতে নতুন পানি ঢুকতে শুরু করায় শহর, বন্দর ও হাট-বাজারে যোগান বেড়েছে বাঁশের তৈরি দারকি, পলিসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন উপকরণের। গত কয়েক দিনে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে ছোট বড় প্রচুর মাছ ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লাহাটে দারকি বিক্রির জন্য এসেছেন শুক্কুর আলী ও ছয়ফুল ইসলাম। তারা ওই উপজেলার বুড়া-বুড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। সারাবছর দারকি তৈরি করে হাট-বাজারে বিক্রি করে চলে তাদের সংসার।
তারা জানান, এবার বৃষ্টি দেরিতে হওয়ায় দারকি বিক্রিতে মন্দা ছিল। তবে গত কয়েকদিনে বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে দারকি বিক্রি। এখন তাদের মনে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে। দুপুরের পর থেকে ভালোই বিক্রি করছেন। প্রতিটি দারকি ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একটি দারকিতে বাঁশ, সুতা, মজুরি মিলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা লাভ হয়। প্রতি হাটে ৭০-৮০টি বিক্রি করেন বলে জানান তারা।

দারকি কিনতে আসা মজনু মিয়া বলেন, চরাঞ্চলের মানুষ আমরা। ঝাঁকিজাল, ফাঁসিজাল, দারকি দিয়ে মাছ ধরি। চরের প্রায় বাড়িতেই দারকি আছে। এটা একহাঁটু থেকে একবুক পানিতে বসানো যায়। আমি ৩টা দারকি কিনলাম।
আরেক ক্রেতা আশরাফুল ইসলাম বলেন, দারকিতে ছোটমাছ ধরা পড়ে। বর্ষা মৌসুমে বাজার থেকে মাছ কেনার চেয়ে দারকি বসিয়ে মাছ মেরে মাছের চাহিদা মেটাই। অনেক সময় মাছ বেশি পড়লে শুটকি করে রাখি।
ফজলুল করিম ফারাজী/এফএ/এমএস