দুর্ভোগে ৩ হাজার পরিবার

তিস্তায় ফের পানি বেড়েছে, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৫:২৪ পিএম, ২১ জুন ২০২৩

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আবারও বেড়েছে। এতে চরাঞ্চলের তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

jagonews24

এদিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের সানিয়াজান নদী পার হতে গিয়ে রাজু (১৮) নামের একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি উপজেলার দালাল পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।

বুধবার (২১ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ২০ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এর আগে ভোর ৬টা থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

Tista-(6).jpg

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা। রাস্তায় পানি ওঠায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

jagonews24

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তা ও ধরলায় পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় প্রায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

Tista-(6).jpg

গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তালেব মিয়া বলেন, ‘তিস্তায় পানি বাড়ায় আমাদের বাঁধের রাস্তাটি হুমকির মুখে। গতরাতে না ঘুমিয়ে জেগেছিলাম না জানি কখন ভেঙে যায় এ আশঙ্কায়। আমাদের দাবি বাঁধটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।’

গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ইউনিয়নের পাঁচটি ওয়ার্ডে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অথচ সরকারিভাবে এখনো কোনো সহযোগিতা পাওয়া হয়নি।

Tista-(6).jpg

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙনপ্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, তিস্তার পানি বাড়লেও বিকেলে তা কমতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩০০ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

রবিউল হাসান/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।