নওগাঁ
হাটে পশুর সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম
কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে নওগাঁর খামারিদের। পশুর হাটে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। ক্রেতার তুলনায় হাটে পশু সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। এতে লোকসানের আশঙ্কা খামারিদের।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৩৬টি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে ২৭টি স্থায়ী ও নয়টি অস্থায়ী। জেলা বড় যে কয়টি পশুর হাট রয়েছে তার মধ্যে বদলগাছী উপজেলার কোলা হাট একটি।
শুক্রবার (২৩ জুন) কোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসেছিল এ পশুর হাট। হাটে মাঝারি আকারের ষাঁড় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বড় আকারে ষাঁড় ১ লাখ ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, বকনা ৫০ হাজার ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ছাগল ১০ হাজার ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন ইজারাদাররা।

আরও পড়ুন: কোরবানির প্রাথমিক ইতিহাস
উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের খামারি আব্দুল জলিল বলেন, তিন বছর আগে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছিলাম। প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালন-পালন করেছি। ভাল দাম পাওয়ার আশায় হাটে নিয়ে আসা। দাম রাখা হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। সেখানে ক্রেতারা দাম হাঁকছেন ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। তিন বছর ধরে এতো খরচ করে পালন করে আমার লাভটা কী হলো। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আওয়ারগাড়ি গ্রামে খামারি সুজাউর রহমান বলেন, একটি ষাঁড় এবার বাড়িতে লালন-পালন করেছি। হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছি। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দাম চাইলেও ক্রেতারা দাম হাঁকছেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

সদর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের মিঠুন হোসেন বলেন, ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কিনেছি। এ গরুর দাম প্রায় দেড় লাখ হওয়া উচিত ছিল। দাম কমে পাওয়ায় কিনে নিয়েছি। বড় আকারে গরু ২৫-৩০ হাজার টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে।
জেলার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম থেকে হাটে গরু কিনতে আসছেন হারুন রশিদ দুলাল বলেন, এ হাটে প্রতি বছরই কুরবানির সময় পশুর দাম কম হয়। আর সে আশায় এ হাটে আশা। ক্রেতার তুলনায় পশুর আমদানি বেশি। প্রচুর পশুর আমদানি হওয়ায় দাম তুলনামূলক কম। পছন্দমতো ক্রেতারা কিনতে পারছেন।
এএএল
আব্বাস আলী/আরএইচ/এমএস