ঢলের পানিতে কুড়িগ্রামে দুইশ হেক্টর জমির সবজিক্ষেত নষ্ট
কয়েকদিনে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছিল কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার প্রায় ৬০টি গ্রাম। এসব এলাকার নদ-নদী তীরবর্তী জমিতে লাগানো বিভিন্ন সবজির ক্ষেত দীর্ঘসময় পানিতে তলিয়ে থাকায় তা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। আকস্মিক বন্যায় ফসল হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে ওই এলাকার কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের কৃষক মো. আমিনুর হোসেনের দুইবিঘা পটলক্ষেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে অন্য কৃষকদের মরিচক্ষেতসহ শসাক্ষেত। এতে করে বিপাকে পড়েছেন আমিনুর রহমানের মতো একাধিক কৃষক।

আমিনুর রহমান বলেন, ভারী বৃষ্টি আর বন্যার পানিতে আমার দুইবিঘা পটলক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বেশ কয়েকবার পটল তুলে বিক্রি করেছি। কিছুটা লাভ হয়েছিল। আর কিছুদিন পরে পানি আসলে পুরোপুরি লাভটা পাওয়া যেত। এখন এই জমিতে আমন ধান করা ছাড়া উপায় নেই।
আরেক কৃষক আসাদুজ্জামান বলেন, আমি কেবল মরিচ বিক্রি শুরু করেছি। এরইমধ্যে পানি এসে ক্ষেতটা নষ্ট হয়ে গেলো। লাভ তো দূরের কথা মরিচ চাষের খরচটাই তুলতে পারলাম না। এবছর এ জমিতে আর কোনো ফসল করাই সম্ভব না।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জেলায় ভারী বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে প্রায় দুইশ হেক্টর সবজিক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পরবর্তী ফসল করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। এছাড়া কৃষকদের আমন ধান করার পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।
ফজলুল করিম ফারাজী/এমআরআর/এএসএম