নেত্রকোনায় বৃষ্টিতে ব্লক ধসে ঝুঁকিতে সড়ক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২৩

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ঝুঁকিতে পড়েছে নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়ক। সড়কের হাওরাঞ্চলের অন্তত সাত কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে ঢেউয়ের কারণে সড়কটি ভেঙে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। সড়কটির স্থানে স্থানে ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। এতে করে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে সড়কের অন্তত ১৫টি স্থান।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, ওই সড়কের বাউসী সেতু সংলগ্ন এলাকায় অ্যাপ্রোচের পাশে অন্তত ২০ ফুট জুড়ে মাটি ধসে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একই এলাকার মাত্র ৫০ ফুট সামনে আরও কয়েকটি স্থানে ধসে মাটিসহ সড়কের পিচ দেবে গেছে। সড়কটির গোমাই সেতু থেকে পাবই মোড় পর্যন্ত অন্তত তিন স্থানে সড়কের পাশের ব্লক ধসে গেছে। এছাড়া পাবই থেকে কলমাকান্দা পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত আরও ১৭টি স্থানে ব্লক ধসে সড়কের পিচ ভেঙে গেছে।

jagonews24

গুতুরা বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, সড়কের কাজ এবং দুই পাশের ব্লকের কাজ খারাপ হওয়ায় নির্মাণকাজ চলাকালীন সময়ে ফাটল দেখা দেয়। পরে কর্তৃপক্ষ তা নতুন করে সংষ্কার করে। সামান্য বৃষ্টিতেই যেভাবে দেবে যাচ্ছে তাতে যেকোনো সময় সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।

নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি সংস্কারে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল একনেকে ৩১০ কোটি ৫ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ৮১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণে প্রায় ১০১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, ১১টি পিসি গার্ডার ও আরসি গার্ডার সেতুতে ৭০ কোটি টাকা এবং সড়ক সংস্কারে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। দুটি প্যাকেজে সেতুগুলো ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এবং দুটি প্যাকেজে ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সেতুগুলোর কাজ পায় এসিএল এমএইচসিএল ডন জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর সড়কের কাজ পায় জন জেভি ও রানা বিল্ডার্স নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ঠাকুরাকোনা থেকে গোমাই সেতুর অ্যাপ্রোচ পর্যন্ত ১২ কিলোমিটারের কাজ দেওয়া হয় ৭২ কোটি টাকায়। সেতুগুলোর মেয়াদকাল ২০২০ সালের জানুয়ারি আর সড়কের মেয়াদ ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল।

jagonews24

নেত্রকোনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়া শরীফ খান বলেন, ‘সড়কটির কাজ এখনো চলমান রয়েছে। আকস্মিক বৃষ্টির কারণে ব্লকগুলো ধসে গেছে। আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে তা সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছি।’

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, সড়কের ব্লক ধসে যাওয়ার সংবাদ শুনে আমি সড়কটি পরিদর্শন করেছি। অতি বৃষ্টির কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। আমি সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত ক্ষতি হওয়া স্থানগুলো সংস্কার করতে।

এইচ এম কামাল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।