আদমজী ইপিজেডে শ্রমিক অসন্তোষ : কারখানা বন্ধ ঘোষণা
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে অনন্ত হোয়াজিং নামের একটি পোশাক কারখানায় মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকদের সঙ্গে কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
আহতরা হলেন, কারখানার সুপারভাইজার জামাল হোসেন (২৮), সিনিয়র অপারেটর খাদিজা (৩০), সাদেকুল (৩৫), আবুল কালাম (৫০) ও রুবেল (২৮)। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অনন্ত হোয়াজিং নামে একটি পোশাক কারখানায় ১ হাজার ৮শ শ্রমিত কাজ করছে। সোমবার এ কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে। মঙ্গলবার সকালে তারা আবারও কর্মবিরতি পালন শুরু করলে সুপারভাইজাদের সঙ্গে প্রথমে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শ্রমিকদের সঙ্গে সুপারভাইজারদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শিল্পপুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার শাহজাহান ও নজরুল সকালে শ্রমিকদের উস্কে দেয়। ট্টেড ইউনিয়ন করার লক্ষ্যে একটি পক্ষ ইদানিং তোড়জোড় শুরু করেছে। এতে শ্রমিকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
শ্রমিকরা জানান, জুনিয়র অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সময় বলা হয়েছিল ছয় মাসের মধ্যে সিনিয়র অপারেটর করা হবে। কিন্তু এক থেকে দেড় বছর হওয়ার পরও সিনিয়র অপারেটর করা হয়নি। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। আদমজী ইপিজেডের জিএম শাহ আলমকে একাধিকবার তার ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শিল্প পুলিশ-৪ নারায়ণগঞ্জ এর পরিচালক পুলিশ সুপার সানা শামীনুর রহমান জানান, অনন্ত হোয়াজিং কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার শ্রমিকরা কয়েকজন সুপারভাইজারকে মারধর করে। এ নিয়ে ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে। পরে শিল্প পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কি কি কারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কারখানার পরিবেশ স্বাভাবিক করতে কারখানাটি আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কারখানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করতে অপরাগতা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, একটি পক্ষ চাচ্ছে ট্রেড ইউনিয়ন করতে। ওই পক্ষটি সম্প্রতি নানাভাবে তোড়জোড় শুরু করেছে। শ্রমিকরা তাদের কথায় অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
এদিকে শ্রমিকদের একটি পক্ষ জানায়, আদমজী ইপিজেড কর্তৃপক্ষকে ইদানিং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না। যদ্ধরুণ শ্রমিকদের ক্ষোভ সংঘর্ষে রুপ নেয়।
হোসেন চিশতী সিপলু/এমএএস/এমএস