দেশের অভাব পূরণ করে বিদেশেও খাদ্য রফতানি হচ্ছে


প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৬

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশকে যারা তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন তারা আজকে আমাদের উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি সুখি সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ে তোলা। এদেশের সকল মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। স্বল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে না পারলেও তারই মানসকন্যা শেখ হাসিনা প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। দেশের উন্নয়নে যে গতি তিনি সৃষ্টি করেছেন তাতে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আঞ্চলিক কেন্দ্রে আধুনিক পদ্ধতিতে দেশীয় ভেড়া পালন প্রশিক্ষণ এবং খামারিদের মাঝে ভেড়া বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. তালুকদার নুরুন্নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বান্দরবান আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং।

তিনি বলেন, সাড়ে ৭ কোটি মানুষ নিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। তখনও আমাদের খাদ্যে ঘাতটি ছিল। আজকে দেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষ। এই ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব পূরণ করার পর আজ বিদেশে খাদ্য রফতানি হচ্ছে। সরকার জনগণের উন্নয়নে যা কিছু সাহায্য করছেন তা সম্পদ হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, একটি সময় নাইক্ষ্যংছড়িতে একটি প্রাইমারি স্কুল চলতো না। আজকে হাইস্কুল, কলেজ, ডিগ্রি কলেজের পর এখন টেকনিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। মহাজোট সরকারের উন্নয়নে আজ দোছড়ি-সোনাইছড়ির মতো দুর্গম ইউনিয়নগুলোতে সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা হয়েছে। নিজেকে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলে অন্যকেও সাহায্য দেয়ার মনমানসিকতা সৃষ্টি করার আহ্বান জানান তিনি।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে আগামীতে তিন পার্বত্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পরামর্শক্রমে পাহাড়ি ঝিরিতে ক্রিক নির্মাণের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে অবদান রাখার সহযোগিতা চান।

"
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. এরশাদুজ্জামান।

অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের লামা সার্কেল অফিসার এএসপি আল মাহমুদ শাকিল, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাদেক হোসেন চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাফায়াৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল খায়ের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব মো. ইমরান, যুগ্ম সদস্য সচিব তসলিম ইকবাল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শফি উল্লাহ, আবু তাহের কোম্পানি, ডা. মো. ইসমাইল, যুবলীগ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার, ছাত্রলীগ সভাপতি চোচু মং মার্মা, কৃষকলীগ সভাপতি মোস্তফা কামাল লালু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মামুন শিমুল, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যানিং মার্মা, যুবনেতা ছৈয়দ আলম, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আলম কোম্পানি, মো. হাবিব উল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে দুই প্রতিমন্ত্রী খামারিদের মাঝে ভেড়া বিতরণ করেন।

সায়ীদ আলমগীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।