বেনাপোলে যুবলীগের নির্বাচনী প্রচারণায় যুবদল নেতা
বেনাপোল পৌর নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ড ভবেরবেড় গ্রামের যুবলীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান আসাদের পক্ষে প্রচারণা করছেন পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জনি হায়দার।
বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যে ও স্থায়ী বহিষ্কার উপেক্ষা করেই তিনি দিনভর উটপাখির ভোট প্রার্থনায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। যুবলীগ নেতার নির্বাচনী প্রচারণায় যুবদল নেতার অংশ নেওয়ার একটি ছবি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ মন্তব্য সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নৌকা ছেড়ে ধানের শীষে যোগ দিলেন ৩০ নেতাকর্মী
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেনাপোল পৌর যুবলীগের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জনি হায়দারসহ একাধিক নেতা দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙ্গে আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন যা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আমরা রাজপথে যেখানে আন্দোলন করতে গিয়ে হামলা-মামলার স্বীকার হচ্ছি, সেখানে উচ্চ পদে থেকে আওয়ামী নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে অর্থনৈতিক ফয়দা লুটছে।
স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির দলীয় নির্দেশনা প্রশ্নে যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ জানান, এ সরকার বা এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। মূলদল বা সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, সহযোগিতা করে, প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেয় দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেনাপোল পৌর নির্বাচন নিয়ে যুবদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেয়েছেন কি? উত্তরে তিনি বলেন, লিখিত বা সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
আরও পড়ুন: ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
এ ব্যাপারে বেনাপোল পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জনি হায়দার বলেন, আমি এ এলাকার ছেলে। সবার অনুরোধে প্রচার প্রচারণায় গিয়েছি। এ ওয়ার্ডে আরও একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও গোপনে ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন। ব্যবস্থা নিলে সবার বিরুদ্ধেই নিতে হবে।
মো. জামাল হোসেন/জেএস/জেআইএম