পিলার দেবে ব্রিজে ফাটল, ঝুঁকি জেনেও চলছে ৮ গ্রামের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৩

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ৩২ বছরের পুরোনো ব্রিজের নড়বড়ে অবস্থা বছর দুই থেকে। দেবে গেছে মাঝ পিলার। দেখা দিয়েছে ফাটল। ভেঙে গেছে সেতুর রেলিং। এরপরও হয়নি সংস্কার। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজের ওপর চলাচল করছে যানবাহন। পারাপার হচ্ছেন ৮ গ্রামের মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে ব্রিজটি ধসে হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা খালের ওপর নির্মাণ হয় ২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজটি। দুবছর আগ থেকে পুরোনো এ ব্রিজের অবস্থা নড়বড়ে হতে থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের মাঝ পিলার দেবে গছে। দেখা দিয়েছে ফাটল। ভেঙে গেছে রেলিংও। এ অবস্থাতেই চলছে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ঘোড়ার গাড়ি। আর এলাকার লোকজন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হেঁটেই পার হচ্ছেন।

ঘাঘা গ্রামের অটোরিকশাচালক চঞ্চল খাঁন বলেন, এ ব্রিজের ওপর দিয়ে আমার অটো চালাতে অনেক ভয় ভাই। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি ব্রিজটি যেন দ্রুত করে দেওয়া হয়।

ঘাঘা গ্রামের তবিবর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সেতুর ওপারে মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে যেতে হয়। পাশে স্কুল আছে। স্কুলের শিক্ষার্থীরাও সবাই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে।

ঘাঘা-যোগিয়া শেফালী জ্যোতিস্ময় মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মোঃ ইসরাফিল জানায়, আমরা প্রতিদিন এ ব্রিজ দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু খুব ভয় করে। আমাদের দাবি, সেতুটি যেন দ্রুত ঠিক করে দেওয়া হয়। যাতে আমরা ভালোভাবে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে পারি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ শাহ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ব্রিজটি ভেঙে পড়ার পর সপ্তাহ খানেক গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে বিকল্প সড়ক না থাকায় মানুষের দুর্দশার কথা বিবেচনা করে ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয়।

কোটাকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান আল মামুদ জাগো নিউজকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাসিক সমন্বয় মিটিংয়ে সেতুর বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ভেঙে যাওয়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিদিন হাজারও মানুষ চলাচল করছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো. জসিম জাগো নিউজকে বলেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা প্রকল্পটির প্রস্তাবনা দিয়েছি। এটি পাশ হলে সেতুটি বাস্তবায়নে সক্ষম হবো।

হাফিজুল নিলু/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।