ট্যাব বিতরণে অনিয়ম, পাবনায় ২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে শোকজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৯:১২ পিএম, ২১ জুলাই ২০২৩
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ করেন ইউএনও নাহিদ হাসান খান

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্যাব বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তারা হলেন- ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আফছার আলী রানা ও মাগুরা দাখিল মাদরাসার সুপার কে এম জাকির হোসেন। ।

বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলমের সই করা এক পত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নোটিশ সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ট্যাব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে মাদরাসায় প্রথম থেকে তৃতীয় এবং স্কুলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের জন্য তালিকা করতে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রদত্ত মেধাবীদের তালিকা বিধি মোতাবেক জমা দেন। ১৩ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৫৩টি ট্যাব বিতরণ করা হয়। কিন্তু দিলপাশার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা ও মাগুড়া দাখিল মাদরাসার সুপার কেএম জাকির হোসেন মেধাবীদের নামের তালিকা না করে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে ট্যাব বিতরণ করেন।

বঞ্চিত মেধাবীদের অভিভাবকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানের কাছে এনিয়ে মৌখিক অভিযোগ দেন। বিষয়টি তদন্ত শেষে মেধাবীদের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পান এবং যাচাই বাছাই শেষে প্রকৃত মেধাবীদের মাঝে ওই প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দকৃত ট্যাবগুলো বিতরণ করা হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী রানা বলেন, পরীক্ষা দিয়েছে পাঁচজন। আর অনুপস্থিত ছিল পাঁচজন। এ কারণে তাদের পরের ছাত্রদের নাম তালিকা করে দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও আমাদের ডেকেছিলেন। আমরা ট্যাবগুলো ইউএনওর কাছে জমা দিয়েছি।

তবে এ মাদরাসার সুপার কে এম জাকির হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপন্থি কাজ করায় শোকজ করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

ইউএনও নাহিদ হাসান খান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আমিন ইসলাম জুয়েল/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।