দোকান থেকে তুলে নিয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
নাটোরে দোকান থেকে তুলে নিয়ে রুবেল হোসেন (২৮) নামে যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেল ৫টায় নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। রুবেল নাটোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য। তিনি নাটোর রেলস্টেশনে কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী।
রাজশাহী মেডিকেলে নেওয়ার আগে রুবেল জানান, বিকেলে তিনি রেলস্টেশন কাঁচাবাজারে সবজির দোকানে কেনাবেচা করছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্য শিমুলের সমর্থক হিসেবে পরিচিত হামিদ ও রাব্বি তার কাছে এসে জানায় সজীব নামের আরেকজন কথা বলবে। এ কথা শুনে দোকান থেকে উঠে রাস্তায় এলে একটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নাটোর সদর হাসপাতালের সামনে নেওয়া হয়। সেখানে থাকা সোহান বলে ‘তুই জীবনের সাথে থাকিস, তোর বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান তোকে বাঁচাতে পারবে না’। এই বলে রাব্বি, সোহান, সজীবসহ আরও কয়েকজন তাকে কোপাতে থাকে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শরিফ আলী সম্রাট জাগো নিউজকে বলেন, রুবেলের পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব জাগো নিউজকে বলেন, রুবেল যুবলীগের একজন নিবেদিত কর্মী। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সবজির ব্যবসা করেন। নিরীহ এ কর্মীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের দাবি, হামলাকারীরা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নাটোর সদর থানার ওসির সঙ্গে আছে তাদের সখ্যতা। এই ওসি থাকা অবস্থায় নাটোরের সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল জাগো নিউজকে বলেন, আমি কোন সন্ত্রাসীদের লালন পালন করি না। কী কারণে রুবেলের ওপর হামলা আমি জানি না। নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেজাউল করিম রেজা/এসজে/এমএস