শোবার ঘরে মিললো বিষধর গোখরা সাপের ২২ বাচ্চা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৩

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পৌরসদরের গাড়াখোলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে প্রায় ২২টি বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পৌর সদরের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের মো. হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে সাপুড়েরা সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে।

হাসান বিশ্বাসের বড় ছেলে সাগর বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, দুইদিন ধরে বাড়ির শোয়ার ঘরের বিভিন্নস্থানে কয়েকটি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। একে একে প্রায় ১৫টি গোখরো সাপের বাচ্চা বাড়ির লোকজন মেরে ফেলে। পরে সাপুড়েদের খবর দিয়ে বাড়ির বিভিন্নস্থানে তল্লাশি চালিয়ে আরেও প্রায় দশটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। তবে বড় সাপটি ধরতে পারেনি। এ ঘটনায় বাড়ির সবাই আতংকিত।

আরও পড়ুন: বানের পানি থেকে বাঁচতে গিয়ে সাপের ছোবলে মৃত্যু

কামারখালী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের সাপুড়ে রিয়াজ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, একটি গোখরা সাপ ৪২,৩২ অথবা ২২টি করে ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা হয়। খবর পেয়ে হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে সাতটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। বাড়ির লোকজন আরও প্রায় ১৫ টি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলেছে। বড় সাপ দুটি ধরা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও কয়েকদিন ধরে উপজেলার মিটাইন, কামারখালী, বাগাট এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে মোট ৯৬টি বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। এগুলো আমি বাড়িতে রেখে খাবার খাওয়াই। বড় হলে এদের দিয়ে খেলা দেখাই।

স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আনিসুর রহমান লিটন জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে হাসানের বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে দেখি খুব ভয়ংকর ব্যাপার। বাড়ির লোকজন আগে থেকে টের পেয়ে সাপুড়েদের খবর দেয়। তারা এসে বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চাগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাপ ধরা দেখতে আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।

আরও পড়ুন: একমাসেই ৪৮ সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ৪

মধুখালী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন জাগো নিউজকে বলেন, সরাসরি সেখানে যাওয়া হয়নি। লোকমুখে শুনেছি হাসান বিশ্বাসের বাড়ি থেকে অনেকগুলো সাপের বাচ্চা উদ্ধার করেছে সাপুড়ে।

এন কে বি নয়ন/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।