শর্তভঙ্গের অভিযোগে অবশেষে বাজেয়াপ্ত হলো মহিষের মাংস-পেঁয়াজ
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা এক টন মহিষের মাংস ও ২৫ টন পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করেছে স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ২ আগস্ট সেই পণ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ আমদানি করে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
গত ১৮ জুলাই এই আদেশের কপি হাতে পায় হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য দুটির বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে উচ্চ আদালত নির্দেশনা দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমদানির ৮০ দিনের মাথায় গত ২ আগস্ট সেই পণ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস সূত্র জানায়, যেসময় এসব পণ্য আমদানি করা হয়েছিল, সেসময় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ রেখেছিল সরকার। তবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড (বিডা) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ আমদানি করে মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ। কিন্তু আমদানির স্বপক্ষে কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট ছিল না তাদের।
এদিকে রপ্তানিযোগ্য মাংসের আচার তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ভারত থেকে মহিষের মাংস ও পেঁয়াজ আমদানি করলেও এই প্রতিষ্ঠানের আচার তৈরির কোনো সক্ষমতা এবং পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই জানিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয় ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন।
এ নিয়ে গত ১৬ মে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ শুনানির দিন ধার্য করে। সেদিন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকলেও মাংস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এবং আমদানিকারক সেদিন যথাযথ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেনি। ওইদিন মহিষের মাংস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে আরও কিছু সময় চেয়ে আবেদন করে। নানা নাটকীয়তা শেষে দুটি পণ্য ছাড় পেতে উচ্চ আদালতে রিট করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। রিটে যথাযথ কাগজপত্র আদালতে দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত এই দুটি পণ্যের বিষয়ে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস উপকমিশনার মো. বায়জিদ হোসেন বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় ভারত থেকে আমদানি করা মহিষের মাংস এবং পেঁয়াজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন সার্টিফিকেট ছাড়া এই দুটি পণ্য ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মাহাবুর রহমান/এফএ/জিকেএস