জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশ
জীবনযুদ্ধে হার না মানা ফুলতিরানীর পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন
কুড়িগ্রামে অভাব-অনটনের সংসারে বেড়ে ওঠা শারীরিক প্রতিবন্ধী ফুলতিরানীর পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল হাসান ফুলতিরানীকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করেন।
এর আগে রোববার (২০ আগস্ট) জাগো নিউজে ‘জীবনযুদ্ধে হার না মানা ফুলতিরানী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফুলতিরানী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের শোভনদহ গ্রামের দারিদ্র্য পরিবারের সন্তান। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকার পরেও অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বাবা মহেশ চন্দ্র শ্রবণ প্রতিবন্ধী। সংসারে উপার্জন করার মতো কেউ নেই। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে দুই ভাইবোনের পড়াশোনার খরচ যোগাচ্ছেন। একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করেন তারা।
অভাব-অনটনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। দুবেলা ঠিকমতো খেতে না পারা ফুলতিরানীর জীবন সংগ্রামের প্রতিবেদন নজরে আসলে তাকে আর্থিক সহযোগিতা দেয় প্রশাসন।
সহযোগিতা পেয়ে ফুলতিরানীর মা পারুল বালা বলেন, মেয়ে প্রতিবন্ধী। সংসারে অভাব তবুও মেয়ের পড়াশোনার ইচ্ছাকে নষ্ট করে দিইনি। প্রশাসন আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে যে আর্থিক সহযোগিতা করলো সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
ফুলতিরানী বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে। ইউএনও স্যারের মানবিকতা আমার পড়াশোনার ইচ্ছাকে আরও শক্তি যুগিয়েছে। আমি সবার কাছে আশীর্বাদ চাই যেন পড়াশোনা করে একজন শিক্ষক হতে পারি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল হাসান বলেন, ফুলতিরানীর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করি, ফুলতিরানী তার লক্ষ্যে পৌঁছাবে।
ফজলুল করিম ফারাজী/এমআরআর/এমএস