বদলির পর থানা থেকে এসি খুলে নিলেন ওসি
হবিগঞ্জের বাহুবল থানা ও বাসভবনে সরকারি অর্থে লাগানো দুটি শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদ্য বিদায়ী ওসি রাকিবুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে।
ওসির এমন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ।
তিনি জানান, সরকারি বরাদ্দে এসি দুটি কেনা হয়েছে। পরে ওসির কক্ষে ও তার বাসভবনে এসি দুটি স্থাপন করা হয়। এটি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হয়নি। তিনি এ এসি খুলে নেয়ার অধিকার রাখেন না।
আরও পড়ুন: মুরাদনগর থানার ওসি প্রত্যাহার
বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খয়ের জানান, থানায় বা ওসির বাসায় সরকারি কোনো এসি বরাদ্দ নেই। সরকারি বরাদ্দ হলে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়েই আসতো। সংসদ সদস্য যদি অনুদান দিয়ে থাকেন তবে সেটি ব্যক্তিগতভাবেই দিয়েছেন। কেউ ব্যক্তিগত জিনিস খুলে নিলে তাতে আমাদের কিছু করার নেই।
বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম খান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। এসি আমার ব্যক্তিগত।

জানা যায়, ২০২১ সালের অক্টোবরে হবিগঞ্জের বাহুবল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন মো. রাকিবুল ইসলাম খান। তিনি যোগদানের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ মিলাদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর প্রকল্পের অধীনে ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি এক লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। এ অর্থ দিয়ে ওসির অফিস কক্ষে ও তার বাসভবনে দুটি এসি লাগানো হয়। সম্প্রতি সরকারি এক আদেশে ওসি রাকিবুল ইসলাম খানকে বাহুবল থানা থেকে মাধবপুর থানায় বদলি করা হয়। তিনি এ বদলির নির্দেশ পাওয়ার পর কয়েকদিন আগে অফিসে ও বাসভবনে স্থাপন করা দুটি এসি খুলে নেন।

বুধবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে ইউএনওর কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ও এলাকাবাসী ওসির ঘটনাটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের নজরে আনেন।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএইচ/জেআইএম