বাড়িতে রাখা পুরাতন বস্তু, গ্রেনেড সন্দেহে ৯৯৯ ফোন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মাদারীপুরের শিবচর থেকে আবারও একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভান্ডারিকান্দি ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের বেপারীকান্দি গ্রামের মিজানুর রহমানের বাড়ি থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ মাস আগে বেপারীকান্দি গ্রামের শাহিন বেপারীর ছেলে সিফাত (৫) ও ইলিয়াস ফকিরের ছেলে সাব্বির (৪) বাড়ির পাশে খেলছিল। খেলার সময় শিশু দুটি গ্রেনেড সাদৃশ্য একটি বস্তু পায়। শিশুরা বস্তুটি কৃষক মিজানুর বেপারীর মেয়ে সুমাইয়াকে দেখান। সুমাইয়া বস্তুটি চিনতে না পেরে নিজেদের ঘরে রেখে দেন।

বৃহস্পতিবার শিবচরে গ্রেনেড ধ্বংস করা একটি খবর দেখে সুমাইয়া গ্রেনেডটি চিনতে পারেন। পরে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জানান।

আরও পড়ুন: ৩৩ বছর ধরে আলমারিতে সাজিয়ে রাখা গ্রেনেডটি ধ্বংস হলো আজ

খবর পেয়ে রাতে শিবচর ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. সেলিম রেজার নেতৃত্বে একটি দল ওই বাড়ি থেকে গ্রেনেড সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করেন।

এ ব্যাপারে সুমাইয়া আক্তার বলেন, প্রায় ৫/৬ মাস আগে আমাদের বাড়ির পাশে একটি ঝোপের মধ্যে শিশুরা এই বস্তুটি পেয়ে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি চিনতে পারিনি। পুরাতন জিনিসভেবে ওটা ঘরেই রেখে দেই।বৃহস্পতিবার টিভিতে গ্রেনেড ধ্বংসের খবর দেখি। তখন বুঝতে পারি এটা গ্রেনেড। তাই রাতেই তাড়াতাড়ি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে গ্রেনেডটি নিয়ে যায়।

শিবচরের ভদ্রাসন পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেলিম রেজা বলেন, গ্রেনেড উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে থানার মালখানায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে। আদালত থেকে সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: মাদারীপুরে সারের গোডাউনসহ ৩ দোকান পুড়ে ছাই

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গ্রেনেড উদ্ধার করেছে। উদ্ধার গ্রেনেডটি সচল আছে কি না তা বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা করা হবে। আদালতের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/জেএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।