বিয়ের প্রলোভনে গৃহবধূকে অপহরণ, ভারতে পাচারকালে উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নাটোর সদরের কাফুরিয়া থেকে অপহৃত এক গৃহবধূকে ভারতে পাচারের সময় সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা সোনাবাড়িয়া থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিপিসি নাটোর-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপহরণ ও পাচারে জড়িত শাজাহান আলী (৩০) ও কবির হোসেন (৩৮) নামে দুজনকে গ্রফতার করা হয়েছে। তারা যশোরের মণিরামপুর মশ্বিমনগর ও শ্যামপুরের বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা শ্যালক-দুলাভাই। শাজাহান ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। তিনি একজন পেশাদার নারী পাচারকারী।

মেজর আশিকুর রহমান জানান, প্রায় সাত বছর আগে সদর উপজেলার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ভিকটিম নারীর। দুই মাস আগে অপহরণকারী শাজাহানের সঙ্গে মোবাইলে কথাবার্তার সূত্র ধরে পরিচয় হয় ওই গৃহবধূর। শাজাহান গৃহবধূকে চাকরির প্রলোভন দেখান। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে উঠলে শাজাহান তাকে অপহরণ ও ভারতে পাচারের পরিকল্পনা করেন।

jagonews24

এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম গৃহবধূকে বিয়ের কথা বলে শাজাহান ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাফুরিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদ বাজার থেকে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে গৃহবধূর স্বামী নাটোর সদর থানায় অপহরণ মামলা করেন।

এরপর প্রযুক্তি ব্যবহার করে র‌্যাব তাদের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে র‌্যাব-৬ এর সদস্যদের সহযোগিতায় কলারোয়া সীমান্তবর্তী সোনাবাড়িয়া থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়।

মেজর আশিক আরও জানান, শাজাহান ভারত ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। তিনি একজন পেশাদার নারী পাচারকারী। ছোটবেলায় তার মা তাকে নিয়ে ভারত চলে যান। ছয় বছর আগে তিনি আবার বাংলাদেশে আসেন এবং যশোরের মণিরামপুরে তার বাবা সোবাহান আলীর সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মেয়েদের টার্গেট করে ভারতে পাচার করে মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করেন। একাজে তাকে তার ভগ্নিপতি কবির হোসেনসহ আরও অনেকে সহায়তা করেন। গ্রেফতারের পর তাদের নাটোর সদর থানায় ও গৃহবধূকে তার স্বামীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রেজাউল করিম রেজা/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।