ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদককে ফুল দেওয়া নিয়ে হাতাহাতি
কিশোরগঞ্জে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক লুৎফুর রহমান নয়নসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দীর্ঘ ১৮ বছর পর কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইটনায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অডিটরিয়ামে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের আগমনকে কেন্দ্র করে পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খানের নেতৃত্ব একপক্ষ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের নেতৃত্ব আরেকটি পক্ষ জড়ো হয়।
কেন্দ্রীয় নেতারা ওই এলাকায় আসার আগেই কোন পক্ষ প্রথমে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাবে তা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক লুৎফুর রহমান নয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আরিয়ান আহমেদ বিনয়সহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন বলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্ৰীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে ফুল দিতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজনের হামলার শিকার হয়েছি। এ হামলায় আমি ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমি সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে নিয়ে প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছি। যারা এই অভিযোগ করেছে তারা মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা বলেছে। এমন কোনো ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই।
এসকে রাসেল/এমআরআর/এএসএম