নিজ অর্থায়নে এলাকায় রাস্তা করে দিচ্ছেন প্রবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০৫:৫০ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৩

নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সদরের পাশেই সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রাম। গ্রামের উত্তরপাড়ার একটি কাঁচাসড়ক চলাচলের অনুপযোগী প্রায় ৩০ বছর। বর্ষা এলে ভোগান্তির শেষ থাকে না।

হাড়িডাঙ্গা মাদরাসা থেকে লস্করপাড়া পর্যন্ত ৫০০ মিটার সড়ক নির্মাণের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। সবাই প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয় না। প্রতিবেশীর কষ্ট লাঘব করতে এগিয়ে এসেছেন হাড়িডাঙ্গা গ্রামের নাসির লস্করের ছেলে লিবিয়া প্রবাসী যুবক রানা লস্কর (৩২)। নিজের অর্থে সড়কটি উন্নয়নের কাজ হাতে নেন তিনি। তার উদ্যোগে প্রায় ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের সড়কটিতে ইটের সলিং এবং তারপর ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে।

jagonews24

গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সড়ক নির্মাণের কাজ। এখানে প্রতিদিন ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তারা আশা করছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবু থান্ডার, জাকির মোল্লা ও রনি থান্ডার বলেন, ‘বর্ষাকালে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে খুব কষ্ট হয়। ছেলেমেয়েদের স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যেতে অসুবিধা হয়। সবার কষ্টের কথা চিন্তা করে এলাকার সন্তান রানা লস্কার সড়কটি নির্মাণ করে দিচ্ছেন। এত আমরা খুবই খুশি।’

jagonews24

সালামাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারমান মোল্লা মাহাবুর রহমান মাহী জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এ ধরনের সড়ক নির্মাণের বরাদ্দ আসে না। তবে সড়কটি এলজিইডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে এটি নির্মাণ করা হবে। তবে প্রবাসী রানা এলাকার স্বার্থে নিজের অর্থে সড়কের কিছু অংশ নির্মাণ করায় তাকে সাধুবাদ জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবুল কালাম মিয়াজী জাগো নিউজকে বলেন, ব্যক্তির অর্থায়নে সড়ক নির্মাণের তথ্য আমার কাছে নেই। এমনকি ওই রাস্তা নির্মাণের জন্য আমাদের কাছে কোনো আবেদনও আসেনি। তবে তিনি (প্রবাসী) সরকারি সহযোগিতা নিতে পারতেন। তারপরও তিনি এলাকাবাসীর কথা ভেবেছেন, এ মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

হাফিজুল নিলু/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।