১৬ লাখ টাকা ঘুস লেনদেনের অভিযোগে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৩

ফেনীতে একটি হাইস্কুলের ছয়টি পদে ১৬ লাখ টাকা ঘুস লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় সভাপতির অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের কুঠির হাট বিষ্ণুপুর হাইস্কুলে ছয়টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাত থেকে ফেসবুকে ১৬ লাখ টাকা ঘুস লেনদেনের খবর ছড়িয়ে পড়ে।

শনিবার সকালে নির্ধারিত সময়ে ছয় পদে ৩০ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিতে স্কুলপ্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। এ সময় নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও পরীক্ষা গ্রহণকারী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজির প্রতিনিধি উপস্থিত হলেও অনুপস্থিত ছিলেন সভাপতি। তিনি ঢাকায় থাকায় ভার্চুয়ালি অংশ নিতে চাইলেও ঘুস লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাজি না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সহকারী প্রধান শিক্ষক, ল্যাব অপারেটর, নৈশপ্রহরী, আয়া, নিরাপত্তাকর্মী ও অফিস সহায়কের ছয়টি পদে গত ২১ জুন দৈনিক সমকাল পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৯ জন, ল্যাব অপারেটর পদে ৪ জন, নৈশপ্রহরী পদে ৪ জন, আয়া পদে ৪ জন, নিরাপত্তাকর্মী পদে ৫ জন এবং অফিস সহায়ক পদে ৪ জন চাকরি প্রার্থী আবেদন করেন।

বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হোসাইন মোহামদ আলমগীর বলেন, সভাপতি অনুপস্থিত থাকায় এবং ঘুস লেনদেনের বিষয়ে বিতর্ক ওঠায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সভাপতি ঢাকায় থাকায় ভার্চুয়ালি যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাজি না হওয়ায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নূরুল আমিন বলেন, সভাপতি অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুস লেনদেনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ঢাকার ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন রতন বলেন, আমি ঢাকার একটি মিটিংয়ে উপস্থিত থাকায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করতে যেতে পারিনি। তাই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, নিয়োগ কমিটি বা প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি জড়িত নই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জেনেছি সভাপতির অনুপস্থিতি ও ঘুস লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপের বিতর্ক ওঠায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় না হলে আরও বেশি বিতর্ক হবে।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।