আদালত অবমাননা, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নামে মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পৌর শহরের গাইটাল শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা মোছাম্মৎ জেসমিন সাহানারা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কিশোরগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ডিসি ও অতিরিক্ত ডিসিসহ (রাজস্ব) পাঁচজনের বিরুদ্ধে খতিয়ান তৈরি ও নামজারি খারিজ খুলে দেওয়ার জন্য ম্যানডেটরি মামলা করেন জেসমিন সাহানারা। ১৬ মে আদালত সেই মামলার রায় দেন। রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে নামজারি ও খারিজ খুলে নালিশি তফসিল বর্ণিত ভূমি জেসমিন সাহানারার নামে পৃথক হোল্ডিং খুলে ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণের আদেশ দেন। কিন্তু ছয় মাসেও আদালতের সেই আদেশ আমলে নেননি বিবাদী পক্ষ। এ ঘটনায় জেসমিন সাহানারা গত মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালে ডিসি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত ডিসি (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন।

বাদী জানান, মামলার রায়ে ও ডিক্রিতে উল্লেখ করা হয় ৬০ দিনের মধ্যে নামজারি ও জমা খারিজ খুলে দেওয়ার। সাধারণত ৭ দিন থেকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয় নামজারি ও জমা খারিজ খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু আদালত পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আদালতের আদেশ আমলে নেননি। আমাদের পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও নির্ধারিত সময় চলে যাওয়ার পর এসিল্যান্ড জানান, আদালতের আদেশ ভুল হয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে আমরা আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে আদালতে আবেদন করি। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আমাদের পক্ষে আদেশ প্রদান করেন। এ আদেশের অনুলিপি এডিসি (রাজস্ব) এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে দাখিল করা হলেও তারা আমলে নেননি। যা কিনা আদালত অবমাননার শামিল। তাই আমরা অন্য কোনো উপায় না পেয়ে আদালত অবমাননার মামলা রুজু করলাম।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মামলা হয়েছে, আমরা মামলার জবাব দেবো। ৬০ দিনের ভেতর নামজারি করতে বলা হয়েছিল। নামজারি করতেতো একটা খতিয়ান লাগবে। উনার যে জমি উনাদের নামেতো রেকর্ডই নাই। রেকর্ড ফেইল করেছে। এখন জমি নামজারি করলে কোন খতিয়ান থেকে নামজারি হবে? একটা খতিয়ান থেকে কমিয়ে আনতে হবে না? আগে জমির রেকর্ড সংশোধন করতে হবে। পরে নামজারি করতে হবে। যেখানে জমিই নাই সেখানে নামজারি করবো কীভাবে। এজন্যই নামজারি হয় নাই। এই বিষয়টিই আমরা আদালতকে অবহিত করবো।

এসকে রাসেল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।