কম টাকা দেওয়ায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল

ফল পুনঃনীরিক্ষণে পাস করলো ৭ শিক্ষার্থী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

দিনাজপুরের কাহারোলে চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় ফেল করিয়ে দেওয়া ৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন পাস করেছে। রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফলাফল পুনঃনিরিক্ষণ করে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ৭ জনের কৃতকার্যের ফল প্রকাশ করেছে।

কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৮ আগস্ট ফলাফল প্রকাশিত হয়। আর ৩১ আগস্ট এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘চাহিদার অর্ধেক টাকা দেওয়ায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর অভিযোগ’ শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশ করে জাগো নিউজ।

জানা গেছে, চলতি বছর অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদরাসার ৪ জন ও চামদুয়ারী দাখিল মাদরাসার ৫ শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর অভিযোগ এনে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার পূর্ব সরঞ্জা দাখিল মাদরাসা ও চামদুয়ারি দাখিল মাদরাসার হল সুপার ও কেন্দ্র সচিবের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত হল সুপার ও কেন্দ্র সচিব শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রতি ৮০০ টাকা দাবি করেছিলেন। কিন্তু কয়েকজন শিক্ষার্থীর অর্থ সংস্থান না হওয়ায় তারা ৪০০ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু ৪০০ টাকায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় দুই মাদরাসার ৯ শিক্ষার্থীকে ৬ নম্বর করে দিয়ে ফেল করানো হয়। ফলে ওই শিক্ষার্থীরা অন্য বিষয়গুলোতে আশাব্যাঞ্জক নম্বর পেলেও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ফেল করে।

অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজমল হক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার মো. তমিজুল ইসলাম ও সমবায় অফিসারকে দিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত রিপোর্ট মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবার পেশ করেন।

রিপোর্ট পাওয়ার পর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ওই ৯ শিক্ষার্থীর ফলাফল পূনঃনীরিক্ষণ করে গত সোমাবার ফলাফল প্রকাশ করেন। যাতে ৭ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ৯ জন শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার কারণে ফেলের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়। জেলা প্রশাসক মাদরাসা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে ফলাফল পূনঃনীরিক্ষণের আবেদন করেন। পরে পূনঃনীরিক্ষণে ৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। যার ফলাফল গত রোববার সন্ধ্যায় পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মন্ত্রণালয় ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে।

এমদাদুল হক মিলন/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।