নোয়াখালীতে যুবলীগের দু’পক্ষের গোলাগুলি, আহত ছয়
নোয়াখালী সদরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের বাঁধেরহাট কলেজ গেট এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে।
আহতদের মধ্যে যুবলীগ নেতা আশরাফুল করিম বাবু (৩৮), মো. মাসুম (২৩) ও মো. রিপনকে (৩৮) প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের গায়ে গুলিবিদ্ধের চিহ্ন আছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদের অনুসারী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো. রিপনের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল করিম বাবুর বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁধেরহাট কলেজ গেট এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

এ সময় উভয়পক্ষ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জাগো নিউজকে বলেন, তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদ জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে ওই সময় আমি এলাকায় ছিলাম না।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, ইউপি নির্বাচনের বিরোধকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের অনুসারী রিপন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষ গোলাগুলি করেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্ট জাগো নিউজকে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগের বাবু ও রিপন গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসজে/জিকেএস