৫ বছরে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত করবেন ভোটাররা

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রোববার (০৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শুরু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আড়াই হাজার পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি মাঠে থাকবে সাত প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের আটটি দল।

এদিকে, এ আসনের গত পাঁচ বছরে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছেন ভোটাররা। কারণ ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জয়লাভ করে বিএনপির উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা। তিনি সংসদ সসদস্য থেকে পদত্যাগ করলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন তিনি। তবে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করলে ৪ অক্টোবর আসনটি আবারও শূন্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল দেয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।

এ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টিসহ পাঁচ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম, জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক দুইবারের এমপি জিয়াউল হক মৃধা।

এদিকে, ৫ নভেম্বর উপনির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যা সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। নির্বাচনে ৮০০ পুলিশ ও ১৫৮৪ আনসার মোতায়েন করা থাকবেন। এছাড়া বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবে।

র‌্যাব-৯ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জাগো নিউজকে জানান, উপনির্বাচনে র‌্যাবের আটটা দলে শতাধিক সদস্য মাঠে থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোষাকেও কাজ করবে।

বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে মাঠে থাকবে বিজিবি সদস্যরা। সাত প্লাটুন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জাগো নিউজকে জানানা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। দুই উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে ১৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তাদেরকে তদারকি করতে তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক থাকবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগের দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করবে।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এএইচ/জেআইএম