দেড় মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে গুলিতে নিহত রবিউল হক নামের এক বাংলাদেশি যুবকের (৩৮) মরদেহ দেড় মাস পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী। অপরদিকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৮২ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন রঙের পোতা ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর শ্রী ধারাম বীর।
আরও পড়ুন: বুড়িমারী সীমান্তে বাংলাদেশি আটক ও নির্যাতনের শিকার
এ সময় কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইমরান হোসেন, এএসআই মসলেম উদ্দিন ও এএসআই সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি সূত্র জানা গেছে, রবিউলের মরদেহ ফেরত চেয়ে পরিবারের সদস্যরা বিজিবি ব্যাটালিয়নে আবেদন করেন। বিজিবি উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর শনিবার বিকেলে বিএসএফ মরদেহ ফেরত দেয়।
রবিউল হক জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী পীরপুরকুল্লা গ্রামের মৃত মইতুল্লার ছেলে। শনিবার এশার নামাজের পর রবিউলের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পীরপুরকুল্লা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী রবিউল হকসহ বেশ কয়েকজন ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। রবিউল ২৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাতে বিএসএফের গুলিতে মার যান। তার সহযোগীরা দেশে ফিরে বিষয়টি স্বজনদের জানান। পরে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মধ্য পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও বিএসএফ মরদেহ ফেরতের বিষয়ে কোনো সাড়া দেয়নি। দেড় মাস পর রোববার তার মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ।
হুসাইন মালিক/আরএইচ/এমএস