ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
নোয়াখালীতে ২১২ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে নোয়াখালীতে ২১২ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে আরও ৯১৩ ঘরবাড়ি।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুর্যোগ কবলিত ইউনিয়ন সংখ্যা ৩৪টি। আর দুর্গত মানুষ ছয় হাজার ৭৬০ জন। দুর্যোগ পরবর্তী সকল কর্মসূচি পালনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী উপকূলজুড়ে তাণ্ডব চালায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাতিয়া উপজেলায়। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও জেলা শহর।
কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে।

সুবর্ণচরের ইউএনও মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ঝড়ে তীব্র বাতাসে শতাধিক ঘরবাড়িসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উড়ে গেছে। ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হাতিয়ার ইউএনও সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ঝড়ের কারণে এখন পর্যন্ত উপজেলায় ৩১০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২০টি। গাছপালা উপড়ে যেসব সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেগুলো স্বাভাবিক রাখতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন।
নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট এলাকায় সংযোগ স্থাপনে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এনআইবি/জেআইএম