বাংলাবান্ধা

লাগেজ তল্লাশির নামে নারীর সঙ্গে অশালীন আচরণ বিজিবি সদস্যের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পঞ্চগড়
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২৩

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফেরার সময় লাগেজ তল্লাশির নামে এক নারীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে বিজিবির এক সদস্যের বিরুদ্ধে।

কাজল নামের বিজিবির ওই সদস্য ভুক্তভোগী নারীর ব্যাগ থেকে অন্তর্বাস (ব্রা ও প্যান্টি) বের করে অন্যদের দেখান। এ ঘটনায় ওই নারী পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের অনুলিপি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নারী গত ১৫ নভেম্বর ভারত থেকে ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরেন। তিনি বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একটি ইজিবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় বাংলাবান্ধা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে কয়েকজন বিজিবি সদস্য তার গাড়ি থামান। কাজল নামের এক বিজিবি সদস্য তার ব্যাগ তল্লাশি করেন। ব্যাগে কিছু কসমেটিকস ও মেয়েদের ব্যবহৃত কিছু জিনিসপত্র ছিল। এসময় বিজিবি সদস্য কাজল ব্যাগ থেকে অন্তর্বাস বের করে অন্যদের দেখান এবং অশোভন আচরণ করেন।

বিজিবি সদস্যদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার (১৯ নভেম্বর) ডাকযোগে বিজিবির অধিনায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘আমি তাদের বারবার বলেছি যে, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে বিজিবি আমার ব্যাগ চেক করেছে। কিন্তু তারা কোনো কথা না শুনে ক্যাম্পের সামনে আমার ব্যাগ থেকে মেয়ের ব্রা ও প্যান্টি বের করে সবাইকে দেখাতে থাকেন। এছাড়া অশ্লীল কথাবার্তা ও অশোভন আচরণ করেন বিজিবি সদস্য কাজলসহ কয়েকজন। তারা আমাকে নানাভাবে অপদস্থ করেন।’

ওই নারী বলেন, ‘আমার বাবা বিজিবিতে চাকরি করতেন। এভাবে তারা কখনোই একজন নারী যাত্রীকে হেনস্তা করতে পারেন না। তাই বিচারের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি। তাদের বিচার না করা হলে তারা এভাবে নারীদের হেনস্তা করতেই থাকবে।’

এ বিষয়ে পঞ্চগড়-১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

সফিকুল আলম/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।