এক রাতে মোংলায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ৭৫ টাকা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মোংলা (বাগেরহাট)
প্রকাশিত: ০২:১০ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ভারতে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর রাতের ব্যবধানে মোংলায় পেঁয়াজের কেজিতে ৭৫ টাকা বেড়েছে। যদিও এ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের আগেই কেনা ছিল। নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা ১১০ টাকার পেঁয়াজ ১৩০, ১৪০, ১৫০, ১৬০,১৭০ ও ১৮০টাকা দরে বিক্রি করছেন।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) মোংলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়। শুক্রবার যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়, সেই পেঁয়াজ রাতের ব্যবধানে শনিবার সকালে দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০টাকা পর্যন্ত।

সকালে বাজারে এসে পেঁয়াজের দাম শুনে চোখ যেন মাথায় উঠে গেছে ক্রেতাদের। বাড়তি দাম শুনে কেউ পেঁয়াজ না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন, আবার কেউ সাধ্যমত স্বল্প পরিমাণ পেঁয়াজ কিনে বাড়ি ফিরছেন। যদিও পেঁয়াজ নিত্যপ্রয়োজনীয় তাই দাম বাড়লেও বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে আছে ক্ষোভ, দাম দর নিয়ে বাকবিতণ্ডাও ঘটছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে।

দিনমজুর আলী আকবর বলেন, ১১০ টাকার পেঁয়াজ এখন ১৫০-১৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আমরা গরীব মানুষ কীভাবে এতো বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে খাবো। অন্য পণ্যের দামও বেশি, আমাদের পরিবার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

হালিম সরদার নামে জাহাজের এক শ্রমিক বলেন, শুক্রবার আধাকেজি পেঁয়াজ কিনেছি ৫৫ টাকায়। আজ বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসে দেখি ১৮০ টাকা কেজি। তাই পেঁয়াজ কিনতে পারিনি।

আরেক ক্রেতা ফরিদ বলেন, ১১০টাকা টাকার পেঁয়াজ এখন ১৫০টাকা চাইছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি বন্ধের কারণে নাকি দাম বেড়েছে।

গৃহিণী মানসুরা বেগম বলেন, ১০০ টাকা দিয়ে যে পেঁয়াজ কিনেছি তা এখন ১৪০টাকায় কিনছি। তাও আবার ভালো না, বেশির ভাগই নষ্ট। খাওয়া যাবে কি না জানি না। আর ভালোটার দাম আরও বেশি, ১৬০ টাকা চাইছে।

পেঁয়াজ বিক্রেতা রহিম হাসান বলেন, দাম বাড়ায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছি না। ক্রেতারা বলছেন ডাকাতি করছি নাকি। খুলনায় পেঁয়াজের পাইকারি কেজি ১৬০টাকা আর খরচ মিলিয়ে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ১৭০টাকায়।

আরেক বিক্রেতা সেলিম বলেন, শুক্রবার খুলনার মোকামে খোঁজ নিলে মহাজনেরা বলেছেন পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। মহাজনরা আমাদের বলেছেন ভারত থেকে নাকি পেঁয়াজ আসা বন্ধ আছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। ফলে শুক্রবার খুলনা থেকে মোংলায় কোনো পেঁয়াজ আসেনি। বাজারেও পেঁয়াজ কম। তাই দোকানদার ও ব্যবসায়ীরা আগের পেঁয়াজই ১৫০-১৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

রাতের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার বিষয়টি সিন্ডিকেটের কারসাজি উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এইচ এম দুলাল।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখেই হয়তো সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই একটি চক্র এমন কারসাজি করছে। এটি সরকারের খতিয়ে দেখার প্রয়োজন।

আবু হোসাইন সুমন/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।