শীতে কাবু লালমনিরহাটবাসী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ১০:৫৭ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

লালমনিরহাটে দুদিন ধরে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পড়ছে ঘন কুয়াশাও। এ ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শিশু বৃদ্ধ ও নিম্নে আয়ের মানুষ। তিস্তা ও ধরলা নদীর চর এলাকার বাসিন্দারা কাজ করতে না পেরে কষ্টে দিন পার করছেন।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো জেলা। মহাসড়ক গুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ১০টায়ও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

jagonews24

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে বলেন, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন থেকে প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমতে থাকবে।

হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জয়নুল আবেদীন বলেন, দুদিন ধরে অতিরিক্ত শীত পড়েছে। এমন অবস্থা সাতদিন থাকলে মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়বে।

jagonews24

ভ্যানচালক আবেদ আলী বলেন, এ ঠান্ডায় কোনো যাত্রী নাই। পেটের দায়ে ঘর থেকে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছি।

এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিরু জাগো নিউজকে বলেন, তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। কয়েকদিন থেকে হালকা হালকা শীত চলার পর গত দুদিন থেকে প্রচুর শীত পড়ছে। এতে বয়স্ক ও শিশুরা কাবু হয়ে পড়ছে। জেলা প্রশাসকের কাছে দ্রুত শীতবস্ত্রে জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

রবিউল হাসান/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।