যমুনায় বেড়া দিয়ে মাছ শিকার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের যমুনা নদীতে মাছ শিকারের জন্য বাঁশ ও জাল দিয়ে বেড়া দিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের নদীর ওই অংশে নামতেও দিচ্ছেন না তারা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কাজীপুর সদর ইউনিয়নের সিংড়াবাড়ী থেকে খুদবান্দি পর্যন্ত যমুনা নদীর প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছেন তারা। খুদবান্ধি গ্ৰামের সাবেক ইউপি সদস্য শামীম হোসেনসহ ১৫ থেকে ২০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি এ বেড়া দিয়েছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়।

বাঁশের ওপরের অংশে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে জাল। পানি বেড়ে গেলেও যাতে বেড়ার ওপর দিয়ে মাছ চলে যেতে না পারে, সেজন্যই এ ব্যবস্থা। স্থানীয়ভাবে এটাকে বলা হয় ‘কাইটা বানা’। প্রায় ১০ দিন ধরে এভাবে মাছ শিকার করা হচ্ছে।

jagonews24

এদিকে এ বেড়ার কারণে নদীর স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি ছোট-বড় সব মাছই ধরা পড়ায় ভবিষ্যতে নদীতে মাছের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

জেলে বল্টুরাম জাগো নিউজকে বলেন, শামীম হোসেনের নেতৃত্বে গুল্লি জাল দিয়ে আমরা ১০ দিন ধরে নদীতে মাছ শিকার করছি। প্রায় তিনশো হাত লম্বা গুল্লি জাল দিয়ে বেড়া দেওয়া অংশে নদীর উজান দিকে টেনে নিয়ে সকল মাছ স্বল্প জায়গায় জড়ো করে শিকার করা হচ্ছে। এতে প্রতিদিন গড়ে নদীর বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ থেকে ৪০ মণ মাছ শিকার করা যায়।

সাবেক ইউপি সদস্য শামীম হোসেন নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের কথা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েই নদী থেকে মাছ ধরা হচ্ছে।

তবে নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের অনুমতি কে দিয়েছে জানতে চাইলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাসান মাহমুদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, এ উপজেলায় দেড় হাজারের অধিক তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছে। নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকারের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার জাগো নিউজকে জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।