অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে মাদারীপুরে হাসপাতাল ভাঙচুর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

মাদারীপুরে দায়িত্বে অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মাদারীপুরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত লাকী বেগম (৩০) মাদারীপুর শহরের শান্তিনগর এলাকার মন্টু বেপারীর স্ত্রী।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের শান্তিনগর এলাকার মন্টু বেপারীর স্ত্রী লাকী বেগমের বুধবার রাতে প্রসব ব্যথা শুরু হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক তাছলিমা বেগম নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করান। এরপরই লাকীর অবস্থা গুরুতর হয়।

দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার আমেনা খাতুনকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে ঘটনা জানানো হয়। এ সময় তিনি হাসপাতালে না এসেই ফোনে লাকীকে সদর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেখান থেকে দ্রুত তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ডাক্তার লাকীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে ফরিদপুরে নেওয়ার মাঝপথেই মারা যান লাকী।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দুপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করেন নিহতের পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলার গোয়েন্দা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত লাকীর স্বামী মন্টু বেপারী বলেন, ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় আমার স্ত্রীর অনেক রক্তক্ষরণ হয়। আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের প্রধান হাসপাতালে আসেননি। তিনি ফোনে সদর হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ডা. আমেনা খাতুন বলেন, ভুল কিংবা অবহেলা নয়, সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে রোগীর। নরমাল ডেলিভারি করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম সরদার বলেন, প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুরের খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।