নোয়াখালী-৪
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমন্বয়কের বাড়িতে ককটেল হামলা-অগ্নিসংযোগ
নোয়াখালী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সমন্বয়কের বাড়িতে ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে সূবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে বাহার উদ্দিন খেলনের গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বাহার উদ্দিন খেলন সাবেক স্পিকার ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম আবদুল মালেক উকিলের ছোট ছেলে। তিনি সূবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বাহার উদ্দিন খেলন অভিযোগ করে বলেন, ভোর ৪টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত আমার বাড়ির সামনে ৭-৮টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এসময় তারা আমার বাড়ির গেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। আতঙ্কে বাড়ির লোকজন দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে।
এ ঘটনার জন্য নোয়াখালী-৪ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ চৌধুরীসহ তার লোকজনকে দায়ী করেন বাহার উদ্দিন খেলন। বিষয়টি তিনি প্রশাসনসহ দলের হাইকমান্ডকে জানিয়েছেন বলেও জানান।
আরও পড়ুন: বিএনএমের এমপি প্রার্থীর বাড়িতে ককটেল হামলা
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ চৌধুরী হামলায় সম্পৃক্ততা বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি শুক্রবার সকালে জাগো নিউজকে বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় বাড়িতে অবস্থান করছি। বাহার উদ্দিন খেলনের বাড়িতে হামলার বিষয়টি ভিত্তিহীন।
নোয়াখালী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন জাগো নিউজকে বলেন, ট্রাক মার্কার জোয়ার দেখে ন্যাক্কারজনক হামলার পথ বেচে নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আমরা এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সকালে আমি নিজে গিয়ে পরিদর্শন করি। বাড়ির সামনে অগ্নিসংযোগে কিছু খড় ও সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত লেখা কাগজ পুড়ে গেছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। লিখিত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী-৪ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে বারবার ফোন দিয়েও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জিকেএস