টাঙ্গাইলে নৌকার মিছিলে গুলির ঘটনায় গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৩ এএম, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

টাঙ্গাইল-৫ আসনে নৌকার মিছিলে বর্তমান সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী সানোয়ার হোসেনের সমর্থকদের গুলিতে যুবলীগ নেতাসহ তিনজন আহত হওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, আকাল মিয়া আকালু ও ইউপি সদস্য হাসেম।

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় আহত বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকনের বাবা ফজলুল রহমান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

২৪ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে গুলিতে আহত হন নৌকার সমর্থক বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মী এমদাদুল হক ও সিয়াম। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন>> টাঙ্গাইলে নৌকার মিছিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের গুলি, আহত ৩

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ বানচাল ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। রোববার রাতে বাঘিল এলাকায় নৌকার মিছিলে অতর্কিত গুলি করেন ছানোয়ার হোসেনের কর্মী সমর্থকেরা। এতে বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন ও কর্মী এমদাদুল হক ও সিয়াম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমার কোনো নেতাকর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তারা নিজেরাই এ নাটক সাজিয়েছে। নির্বাচনে যেন ভোটাররা না আসে সে ব্যবস্থা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবো। আমার নেতাকর্মীরা কখনই এ ধরনের হামলা করবে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দেওয়া আছে। গত কয়েক দিনে আমার বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর ওপর হামলা করা হয়েছে। আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে নৌকার প্রার্থীর লোকজন। সুষ্ঠু-তদন্ত করে কারা এ ঘটনায় জড়িত তা বের করার দাবি করছি।

টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনের নামোল্লেখসহ ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রার্থীর তিনজন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

টিটি/এআরটি/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।